মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বেড়েই চলেছে চুরি,ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা।রাত নামলেই প্রায় প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে কোন না কোন বাড়িতে চুরি হচ্ছে। চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় চরম আতংঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে।
সাটুরিয়ায় চেতনা নাশক স্প্রের মাধ্যমে চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় উপজেলার প্রতিটি এলাকায় প্রান্তিক কৃষকেরা এখন গরুর সাথে গোয়াল ঘরে ঘুমাচ্ছেন।তবুও যেন শেষ রক্ষা পাচ্ছে না তারা। অপর দিকে প্রতি ঘরেই এখন সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন সাটুরিয়া থানা পুলিশ।
ভুক্তভুগীরা অভিযোগ করে বলেন,পুলিশ প্রশাসনের এমন নিশ্চুপ ভূমিকায় আইন শৃংঙ্খলার অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।সাটুরিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সারা দেশে পুলিশের রদবদল হচ্ছে।বর্তমানে সাটুরিয়া থানায় যেসব পুলিশ কর্মকর্তা যোগদান করেছে তারা প্রায় সবাই নতুন।এছাড়া রাতে পুলিশের টহল দিতে যে গাড়ির প্রয়োজন।সেই পরিমাণ পুলিশের টহল গাড়ি না থাকায় এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
গত রোববার(১০ অক্টোবর) রাতে সাটুরিয়া ইউনিয়নের ঘিওর গ্রামের ওয়াদুদের বাড়ি থেকে তিনটি গরু চুরি হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এ বিষয়ে ওয়াদুদ মিয়া বলেন,তার থাকার ঘর ও গরুর গোয়াল ঘরে এক ধরণের চেতনাশক স্প্রে করে।এরপর বাড়ির সবাই অচেতন হয়ে পড়লে গরু নিয়ে যায় চোরের দল।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমানে রাতে তেমন একটা পুলিশি টহল না থাকায় সহজেই চোরেরা চুরি করতে পারছে।
সাটুরিয়া থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা পাননি তারা। প্রায় প্রতিরাতে চুরি ছিনতাই হলেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। এলাকায় মাদক সেবীদের আানাগােনা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা বেড়ে চলছে বলে জানান তারা।তাছাড়া পুলিশের নিয়মিত টহল না থাকায় প্রতিরাতেই কোন না কোন বাড়িতে চুরির মতো ঘটনা ঘটেই চলছে।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি মো.শাহিনুল ইসলাম বলেন,প্রতিরাতেই পুলিশের ৪ টি টহল বাহিনী বের হয়। তারপরও চুরি-ডাকাতি ঠেকানো যাচ্ছে না।চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় টহলও জোরদার করা হয়েছে।এ ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় চুরি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবেও পাহাড়া দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তাবিব