সাখাওয়াত হোসেন সুমন
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদক-চোরাচালানসহ মানি লন্ডারিং মামলার আসামি সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে সদরের তিস্তা টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যা, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ কয়েকটি মামলার আসামি।
জানা গেছে, হুন্ডি সুমনের অবৈধ সম্পদ, ব্যাংক, হোটেল, দালান এবং অন্যান্য ব্যবসাসহ চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ ও মুদ্রা পাচার ইত্যাদির বিষয়ে দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে সিআইডি। অনুসন্ধানে সুমন খানের ব্যাংকে ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬০ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া, সুমন খানের স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চার কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩১০ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও সুমন খানের কর্মচারী তৌকির আহমেদ মাসুমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৮৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ১২৭ টাকা জমা পাওয়া যায়। তাদের বৈধ আয়ের কোনো উৎস নেই।
এদিকে, এলাকায় সুমন খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। তার অপকর্মের কথা ওপেন সিক্রেট থাকলেও কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করতো না। তবে গত ৫ আগস্ট তার আলিশান বিলাস বহুল বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেন উত্তেজিত জনতা। এ সময় অটোমেটিক দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসতে না পেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পাঁচ ছাত্রের মৃত্যু হয়।
লালমনিরহাট জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, ‘হুন্ডি সুমনের বিরুদ্ধে মাদক, চোরাচালান, স্বর্ণ ও মুদ্রা চোরাচালানসহ নানান অপকর্মের তথ্য পেয়েছি। সদর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এম হাসান