চট্টগ্রামের পটিয়ায় শুরু হয়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। প্রায় রাতেই উপজেলার কোথাও না কোথাও ঘটনা ঘটে চলেছে।
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই অধিকাংশই রাতের বেলা বিভিন্ন বাসাবাড়ি এবং দোকানে সংঘটিত হচ্ছে। লুট করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের টাকা-পয়সা ও মানুষের বসতঘরের মূল্যমান মালামাল।
গত ১১ দিনে এ উপজেলায় কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যান। এর কয়েকদিন পর পুলিশ কাজে ফিরলেও তাদের মধ্যে এখনো ভীতি কাজ করছে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এখানে কঠোর না হওয়ায় দিন দিন এখানে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ফলে এখানকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।
তবে প্রশ্ন ওঠেছে-আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যারা নানা অপরাধে জড়িত ছিল তারা ছদ্মবেসে এ কাজ করছে, নাকি নতুন কোনো গ্রুপ এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাইপাসের শুরুতে (আনসার ভিডিপি ক্যাম্প) শ্রীমাই ব্রিজ এবং বাইপাসের বিভিন্ন পয়েন্টে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা মানুষকে দিন দিন আতঙ্কিত করছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পটিয়া উপজেলায় প্রায় রাতেই গরু চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এখনো তা চলমান রয়েছে।
পটিয়া শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দে জানিয়েছেন, প্রায় রাতেই বাইপাস থেকে শুরু করে শ্রীমাই ব্রিজ এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ওই এলাকাটি অন্ধকার হওয়ার কারণে ছিনতাইকারীরা নিরাপদ পয়েন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তাছাড়া পটিয়া বাইপাস থেকে শুরু করে শ্রীমাই ব্রিজ পর্যন্ত যে অপরাধের ঘটনা হচ্ছে তার বিষয়ে পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনিসহ পটিয়া থানার ওসি টহল দিয়েছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।