খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে অর্থনৈতিক লেনদেন ও পরকিয়ার জেরে প্রবাসী শাকিল প্রকাশ মুসাকে হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর রহস্য উদঘাটন করে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওমান প্রবাসী শাকিলের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক ছিল ভাবী নাসিমা আক্তারের। শাকিল প্রবাসে থাকাকালীন আরেকজনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ও পরবর্তীতে বিয়ে হয় নাসিমা। বিষয় গুলো ধামাচাপা দিতে এবং প্রবাস থেকে শাকিলের পাঠানো অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে কৌশলে তাকে ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে এনে পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায় হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়।
১১ বছর পর বাবা ও ভাইয়ের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তাদের ফাঁসানোর লক্ষ্যে নাসিমা বিষয়টি শাকিলের মাকে জানায় এবং ঘটনার সাক্ষী হয়। কিন্তু পুলিশের তদন্তে রহস্য উদঘাটনে নাসিমা মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে শনাক্ত হয়। বর্তমানে নাসিমা আক্তার, তার স্বামী মনির হোসেনসহ অপর আসামী শরিয়ত উল্লাহ ও দেলোয়ার কারাগারে রয়েছে। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মূলে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কিছু হাঁড়, মাথার খুলি ও কাপড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে যার পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাফরান