.
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সড়ক বিভাগের আওতায় দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু অংশের সড়কের বেহাল অবস্থা। এতে চরম দুূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। দীর্ঘ দিনের এই পুরাতন সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও সম্প্রসারণের দবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা যায়, বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনস্থ নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক বর্তমানে ১২ ফুট প্রস্থ। এই সড়ক দিয়ে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির জন্য খাদ্য, অস্ত্র, গোলা-বারুদ বহনকারী গাড়ি চলাচল করে থাকে। সড়কটিতে দূরপাল্লার মালবাহী দুইটি গাড়ি মুখোমুখি হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। এ সময় মানুষের হাঁটাও মুশকিল হয়ে পড়ে বলে জানিয়ছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ট্রাক চালক হারুনুর রশিদ ও নুরুল হাকিম বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। কারণ সড়কের দুপাশে রয়েছে পাহাড় ও বড় বড় গর্ত। সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি সম্প্রসারণ করে প্রস্থ না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কটি দীর্ঘ বছরের পুরনো এবং ১৯৯১ সালের পর থেকে কোনো সরকারের আমলে এটি সম্প্রসারণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। এছাড়া এ সড়কে বেশকিছু বেইলি ব্রিজ ও কালভার্ট অতি ঝুঁকিতে রয়েছে যা ভেঙে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর, দোছড়ি, বাইশারী ও সোনাইছড়িসহ ৭ ইউনিয়নছাড়াও কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়ার ৩ লাখের বেশি মানুষ। এ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রয়েছে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া বিশেষ করে কক্সবাজার জেলা খাদ্যশস্য ভা-ারখ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নসহ মিয়ানমার সীমান্ত ঘেষা ৭টি ইউনিয়নের, উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবহার করে আসছে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কটি। সচেতন মহলের মতে সড়কটি সম্প্রসারণ খুবই দরকার।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, সড়কটি দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার আর প্রস্থ ১২ ফুট তাই সংস্কারের পাশাপাশি প্রস্থ সম্প্রসারণ করা খুবই জরুরি। সড়কটির প্রস্থ ছোট হওয়ায় গাড়ি চলাচলে নানা জটিলতা দীর্ঘ দিনের। তাই দুূর্ঘটনা এ সড়কের নিত্য সঙ্গী বলে জানান তিনি। নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বিজিবির অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সাহল আহমেদ নোবেল বলেন, সড়কটির কারণে বিজিবির বিভিন্ন অপারেশনের সময় গাড়ি চলাচলে বিঘœ ঘটছে। সড়কটির প্রস্থ ছোট হওয়ায় দুটি গাড়ি পরস্পরকে সাইড দিতে অনেক সময় লাগে। এছাড়া সীমান্ত ও জননিরাপত্তার জন্য এসড়কের সম্প্রসারণ কারা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি উন্নয়নমূলক প্রজেক্টের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা হবে।