ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ঘিওরে ইছামতী নদীর উপরে ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি ২২ বছরেও মেরামত করা হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘিওর, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:২২, ১০ নভেম্বর ২০২৪

ঘিওরে ইছামতী নদীর উপরে ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি ২২ বছরেও মেরামত করা হয়নি

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুস্তা ইছামতি নদীর উপর নির্মিত ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি দীর্ঘ ২২টি বছরেও  পূর্ন মেরামতকরা হয়নি  প্রায় ১০/১২টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজনকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু উপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে কয়েক বছরের বন্যায় দু পাশের মাটি ধ্বসে মারাত্নক ক্ষতি সাধিত হয়েছে

তার পরেও এলাকার লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর উপরে ভাঙ্গাচুরা বাঁশের সাকো দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে যে কোন সমযে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকার লোকজন প্রশাসনের ব্যাপারে কোন নজরদারি নেই বললেই চলে

 জানা গেছে, উপজেলা এলজিইডি ২০০২ সালে ইছামতি নদীর উপর প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মান করে গত কয়েক বছর যাব কালিগঙ্গা নদীর ভাঙ্গনে সেতুটির পশ্চিম পাশের সম্পূর্ন অংশ নদীতে বিলিন হয়ে যায় এবং পূর্ব পাশের দুইটি পাটাতন ধ্বসে এবং পিলার ভেঙ্গে রড বেড়িয়ে গেছে ফলে, এলাকার লোকজন যাতায়াতের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটির উপরে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে কোন রকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করে 

প্রতি দিন কুস্তা, ঠাকুরকান্দি, ভররা, বিনোদপুর, খলসী, কুমুরিয়া, বনগাঁও, নারচি, জিয়নপুর ইউনিয়নসহ ১০/১২টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন এই সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার ব্যবসায়ীদের পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে কোন ধরনের যানবাহনও চলাচল করতে পারছেনা

বন্যার সময় স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার বহু লোকজনের দুঃখ কষ্টের সীমা থাকেনা ধলেশ্বরী ইছামতী কালিগঙ্গা নদীর প্রচন্ড স্রোতের কারনে প্রতি বছর বহু বাড়ি ঘড় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে

 এবারের বন্যায় পুরাতন ইছামতী নদীর ভাঙ্গনে কুস্তা, ঘিওর গরু হাট, বেপারীপাড়া কবরস্থান, রছুলপুর ববরস্থান /৮টি বাড়ি ঘড়, রামকান্তপুর কবরস্থান সহ বাড়িঘড় ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে কুস্তা কফিলউদ্দীন দরজী উচ্চ বিদ্যালয়, কুস্তা কবর স্থানসহ সেতুটির পশ্চিম পাশের অংশ নদীতে বিলিন হয়ে যায়

বাপ, দাদাদের বসত বাড়ি নিয়ে নদীর পার্শ্ববর্তী লোকজন বন্যার সময় আংর্তকে মধ্যে দিন কাটায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন কবলিত এলাকা প্যালাসাইটং জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গনরোধের চেষ্ঠা করে

ঘিওর বাজারের বিশিস্ট ব্যবসায়ী মোঃ শাজাহান খান সাংবাদিকদের জানান, এই সিতুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন  প্রায় ১০/১২টি গ্রামের বহু লোকজন যাতায়াত করে থাকে সাম্প্রতিক কালের কয়েক বছরের বন্যায় আমাদের এলাকার বহু বাড়িঘড় এবং সেতুটি সম্পূর্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়

গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয় বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে  সেতুর উপর দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করছে  তবে,দ্রুত নতুন সেতু নির্মান করা প্রয়োজন

ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ অহিদুল ইসলাম টুটুল জানান, আমি সেতুটি নির্মানের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে কয়েক দফায় আলাচনা করেছি ১০/১২টি গ্রামের শত শত জনসাধারন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করছে তবে যে কোন সময় বড় ধরনের দুঃর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকার লোকজন

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহিনুজ্জামান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছিসরেজমিন ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি পরিদর্শন করে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছে  দ্রুত সেতুটি নির্মানে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

 এলাকার অভিজ্ঞ মহল,সাধারন লোকজন এবং সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগন অবিলম্বে সেতুটি নির্মানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন

×