কাপ্তাই লেকের কারণে এখানে লক্ষাধিক লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। কাপ্তাই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্তসহ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বিশাল কাপ্তাই লেকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সকলে মিলে কাজ করতে হবে। দেশীয় প্রজাতি মাছের এক বৈচিত্র্যময় জলভা-ার এই লেক।এর জীববৈচিত্র রক্ষা কেের পরিকল্পতি ভাবে ব্যবহার করতে হবে।রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলার কাপ্তাই লেকের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারগণের সাঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেছেন।
কাপ্তাই লেকে সকল প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণালব্ধ পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ করা হবে। এছাড়া কাপ্তাই লেকে অধিক মৎস্য চাষ, আহরণ ও বিপণনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটানো হবে। এখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থান করতে হবে। তিনি সমবায়ের মধ্যেমে লেকে মাছ চাষ করার পরামর্শ দেন। লেকে পানির স্তর ঠিক রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। শুধু বিদ্যুতের জন্য মানুষের যাতায়ত মাৎস্য ভা-ার, পর্যটন সেক্টর নষ্ট করা যাবেনা। লেকের সঙ্গে অনেক গুলো সংস্থা জড়িত । মৎস্য , পর্যটন কৃষি , পরিবেশ ও বিদ্যুতসহ অনেকগুলো সংস্থা জড়িত রয়েছে । তাদের সন্মনয়ে এখানে প্রকল্প গ্রহন করতে হবে। এখানে ১৮শত ক্রিক রয়েছে ।যেখানে বাঁধ দিয়ে মাছ ছাষ করা যেতে পারে। প্যান পদ্ধিতিতেও মাছচাষ করার সৃযোগ রয়েছে। কাপ্তই লেকেকে বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি বলেন।
উদেষ্ঠা বলেন কাপ্তাই লেকে পলি যেভাবে বাড়ছে এতে করে লেকের গভীরতা অনেক কমে গিয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া অত্যন্ত জরুরী।, কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং,পর্যটন শিল্পের উন্নয়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য আমি যথাসাধ্য কাজ করে যাবো।
পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে এই এলাকার মানুষের কষ্টের কারণ ছিল এই কাপ্তাই বাঁধ। আবার এ কাপ্তাই হ্রদ থেকেই আয় হচ্ছে বছরে চার হাজার কোটি টাকা। উপদেষ্টা বলেন এই আয়ের পরিমাণ আরো বাড়ানো সম্ভব। কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং- এর মাটি দিয়ে ড্যাম তৈরি করে বহুমুখী আয়বর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে। এখানে লাখো মানুষের আয়ের সংস্থান হবে। উপদেষ্টা বলেন, পানি প্রবাহ কোনোভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না। মাছের উৎপাদন ও মানুষের জীবন ও জীবিকা বাড়াতে পানি বাড়াতে হবে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সকলে মিলে কাজ করতে হবে। দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টা প্রাণপণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সদ্ভাব ব্যবহার বজায় রাখতে আমরা চাই।আমরা বহুদিন থাকবনা । আমরা নির্বাচিতদের নিকট ক্ষমতা দিয়ে যাব।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. রুহুল আমিন, অতিরিকরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়দা আকতার, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের,পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোকবিকাশ চাকমা, জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: হারুনুর রশীদ ও সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন রুবেল প্রমুখ।
সভার শুরুতে কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে আলাদা আলাদা প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রাঙ্গামাটি বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো: আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদা