দাবিকৃত দশ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ী আলী মোল্লার সাথে থাকা নগদ দশ হাজার ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় চিহ্নিত কতিপয় বখাটে যুবক।
এসময় ওই ব্যবসায়ীর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে চাঁদাবাজদের ধাওয়া করে। উপায়অন্তুর না পেয়ে একটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছে চাঁদাবাজ সাইফুল খান ও তার সহযোগিরা।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার নদীবেষ্টিত মুলাদী উপজেলার ছবিপুর ইউনিয়নের সোনামদ্দিন বন্দরে। এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে থানার ওসির নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আলী মোল্লা।
বোয়ালিয়া গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে ব্যবসায়ী আলী মোল্লা অভিযোগ করেন, সোনামদ্দিন বন্দরে তার পুরাতন দোকান ঘর ভেঙে শনিবার সকাল থেকে সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী চরকালেখান ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের মৃত সালাম খানের ছেলে সাইফুল খান তার সহযোগিদের নিয়ে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে এসে তার (আলী) কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এসময় তিনি দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রকাশ্যে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি জোরপূর্বক তার সাথে থাকা নগদ দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় সাইফুল খান ও তার সহযোগিরা।
একপর্যায়ে তিনি ডাকচিৎকার শুরু করলে বন্দরের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে চাঁদাবাজদের ধাওয়া করেন। এসময় উপায়অন্তুর না পেয়ে সাইফুল খান তার মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
মুলাদী থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, মোবাইল ফোনে ব্যবসায়ী আলী মোল্লা বিষয়টি তাকে জানানোর পর বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশ সোনামদ্দিন বন্দর থেকে বখাটেদের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আলী মোল্লা ওই পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাহিদা