টেন্ডার নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিএনপি নেতা এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ছোটলু যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের শ্যালক।
গত বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের পাঁচ কোটি টাকার চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহের টেন্ডারের সব কাজ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন ছোটলু। এ কারণে তাঁর নেতৃত্বে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশিদকে লাঞ্ছিত করা হয়। লাঞ্ছিত করার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে শোকজ ও যুবদল নেতা হাবিবুল্লাহকে বহিষ্কার করে দলটি। এবার শোকজের একদিন পর ছোটলুকে বহিস্কার করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে- গত ৭ নভেম্বর যশোর জেনারেল হাসপাতালে সুপারের কক্ষে সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের পেক্ষিতে যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে দল থেকে বহিস্কার করা হলো।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক বা ঠিকাদারি কাজে কেউ অনৈতিক সুবিধা নিতে চাইলে সে ব্যক্তি দলের যেকোনো স্তরের নেতা বা কর্মী হোক, তাঁর বিরুদ্ধে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেলা বিএনপি বিষয়টি নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য মনে করে এবং এর তীব্র নিন্দা জানায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নেতাকেই বহিস্কার করা হয়েছে।’
এই বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এ কে শরফুদ্দৌলার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রিয়াদ