দইখাওয়া আদর্শ কলেজের ১০ টাকার ক্যান্টিন
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দইখাওয়া আদর্শ কলেজে মাত্র ১০ টাকায় দুপুরের খাবার পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরের টিফিন হিসেবে মাত্র দশ টাকায় ডিম খিচুরী খেতে পারছেন তারা। কলেজ অধ্যক্ষের নিজস্ব টাকা কতিপয় বিদ্যানুরাগীর সহযোগীতায় চলে এ ১০ টাকার ফুড ক্যান্টিন
জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে দইখাওয়া আদর্শ কলেজটির অবস্থান। কলেজের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০০ জন এর মধ্যে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী অসহায় ও দ্রারিদ্র পরিবারের হওয়ায় বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসতে পারেন না। তাই কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে (টেন টাকা ফুড) নামে ক্যান্টিন চালু করেন। সেখানে দুপুরে মাত্র ১০ টাকায় ডাল-ভাত খাবার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গত ৫ বছর ধরে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দুপুরে ১০ টাকায় পেট ভরে খাবার খেয়ে থাকেন।
কলেজ অধ্যক্ষের নিজস্ব টাকা আর বাহিরের দু’একজন বন্ধুর সহযোগীতায় চলে এ ১০ টাকার ফুড ক্যান্টিন। বর্তমানে দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতির কারণে খাবার জোগান দিতে গিয়ে হিমশিত খেতে হচ্ছে কলেজ অধ্যক্ষ মোফাজ্জাল হোসেন'কে।
শিক্ষার্থীরা দুপুরের ১০ টাকায় খাবার পেয়ে অনেক খুশি এবং তারা পড়ালেখায় আরও মনোযোগি হওয়ায় প্রতি বছর ভাল ফলাফল অর্জন করছে।
শিক্ষার্থী মনির হোসাইন জানান, প্রতিদিন সকাল দশটায় কলেজ গেটে প্রবেশের সময় ১০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট সংগ্রহ করেন তারা। দুপুর একটায় ওই টিকিটের মাধ্যমে তারা ক্যান্টিনে খাবার খান। কলেজ শিক্ষার্থী নবির মিয়া জানান, আমাদের কলেজ একটি মানসম্মত ক্যান্টিন রয়েছে। এর ফলে বাইরের কোন খাবার খেতে হয় না।
এ ব্যাপারে দইখাওয়া আদর্শ কলেজ অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন জানান, কলেজটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অনেক দুর থেকে শিক্ষার্থীরা সকালে না খেয়ে সাইকেলিং করে কলেজে আসে এবং সারাদিন কলেজে থেকে অনেকেই অসুস্থ ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই দিকটা চিন্তা করে আমি ২০১৮ সালে এই ১০ টাকার ক্যান্টিনটি চালু করেছি। তবে বর্তমানে দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি হওয়ায় ১০ টাকায় তাদের একবেলা খাওয়াতে গিয়ে খুবকষ্টকর হয়ে পড়েছে। যদি বৃত্তবানরা এগিয়ে আসতো তাহলে খাবারে শিক্ষার্থীদের আমিষসহ পুষ্টির যোগান দেওয়া যেত।
তাজিন