সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে ডাকাতিয়া নদী ভাঙন প্রতিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর মানববন্ধন
সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে সম্প্রতি ২০টি বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম শেষে নদীর পানি কমে যাওয়ায় এখন নতুন করে ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।
শুক্রবার দুপুরে ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহবান জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার বহু নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বিলকিস ও তাসলিমা বেগম বলেন, এক সপ্তাহে আমাদের গ্রামের ২০ পরিবার, বসতঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বর্তমানে মসজিদ, মাদ্রাসা, বসতবাড়ি, কবরস্থান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সহস্রাধিক পরিবার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। একই এলাকার সৈয়দ খান ও জাকির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙন সমস্যার কথা জানিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ভাঙন তীব্র হলে স্থানীয় সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে এগিয়ে আসেননি।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, আমরা ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন এলাকাগুলো পরিদর্শনে গিয়েছি। নদীর তীরে ভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ভাঙনরোধে কাজ করা হবে।