মুন্সীগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়তে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। চারিদিকে যেন ইলিশের রাজ্য। কেজিতে বড় ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭শ' টাকা। রুপালি ইলিশের স্বাদ নিতে ভোরের হাটে উপচে পড়া ভিড়।
হেমন্তের হালকা শীতল ভোরেই পদ্মা পারে ইলিশের রুপালি ঝিলিক। জেলের জালে ধরাপড়া ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ভরপুর মাওয়া মৎস্য আড়ত। ইলিশের ছড়াছড়ি। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে টানা ২২ দিন বন্ধের পর পর তা ইলিশ পসরা ঘিরে উপচেপরা ভিড়। পাইকারি ডাকে বিক্রি হচ্ছে টনে টনে ইলিশ। কেজিতে বড় ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ শ’ টাকা পর্যন্ত। আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ শ’ টাকায়। মাওয়ার ইলিশের হোটেলগুলোতেও ইলিশের ব্যাপক চাহিদা, পাইকারদের পাশাপাশি হাটে আসছে অনেক সৌখিন ক্রেতা। ভোক্তাদের দাবি এই মৌসুমে ইলিশের দাম আরও কম থাকা উচিত। এর পেছনেও সিন্ডিকেটের কারসাজি। এদিকে অনেক পেটে ডিমসহ অনেক ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তাই মা ইলিশ রক্ষা অভিযান নিয়ে আরও ভাবনার দরকার বলে জানান কাইয়ুম মিয়া। তবে মাওয়া মৎস্য আড়তের সভাপতি জীবন দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও দীর্ঘ বিরতির কারণে চাহিদাও অনেক। তারপরও সহনীয় দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। দেশসেরা ভোরের এই রইলিশের হাট সংস্কার দাবি করে তিনি বলেন, হাটের সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ চরমে। আর হাটে প্রবেশ পথ সরু থাকায় জট লেগে যায়। গাড়ি পার্কিংও নেই। তাই নানা অঞ্চল থেকে আসা পাইকার ও সৌখিন ক্রেতারা কষ্ট পায়। পদ্মাপারের প্রতিদিনের ভোরের এই হাটে ২ থেকে ৩ দিন ঘন্টায় বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।
মাওয়ায় ইলিশের ছড়াছড়ি
শীর্ষ সংবাদ: