ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

নওয়াপাড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থা নাজুক, যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়,পরিবেশ বিপর্যস্ত,জনজীবন অতীষ্ঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা,নওয়াপাড়া,যশোর ॥

প্রকাশিত: ১৮:১০, ৮ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৮:১১, ৮ নভেম্বর ২০২৪

নওয়াপাড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থা নাজুক, যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়,পরিবেশ বিপর্যস্ত,জনজীবন অতীষ্ঠ

যশেরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থা নাজুক, যত্রতত্র ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠায় পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে,জনজীবন অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ বর্জ্য ফেলা হচ্ছিল রাজঘাট শিল্প ক্লিনিক (পরিত্যক্ত) অঙ্গনে। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা জারি করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। ফলে গত ৭ দিনে  ময়লা-আবর্জনা শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। জমে থাকা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
অপরদিকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের  কাজে থাকা পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পড়েছেন বিপাকে। ময়লা সংগ্রহ করে ফেলার জায়গা পাচ্ছেন না। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারি খাস জমি পাওয়ামাত্র ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হবে।
নওয়াপাড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নিজেস্ব জমি না থাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের রাজঘাট এলাকায় সরকারি পরিত্যক্ত শিল্প হাসপাতালের ভেতরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। এর ফলে যশোর খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন পথচারী ও বাসিন্দাদের দারুন ভোগান্তি হচ্ছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ক্লিনিক ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে কারণে পৌরবাসী সাময়িক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজঘাট শিল্প ক্লিনিকের জমিসহ ভবন লিজ নিয়েছিল। তাদের লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে। দীর্ঘদিন তারা শহরের সব ময়লা-আবর্জনা হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে ও বাইরে স্তুপ করে রেখেছে। একদিকে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে অন্য দিকে অস্বাস্থ্যকর দুর্গন্ধের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তা’ছাড়া রোগীদের সেবাদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজঘাটের শিল্প হাসপাতাল সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

×