ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ভারতের আধিপত্যবাদ মোকাবিলায় জামায়াতকেই বেছে নেবে জনগণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:০০, ৮ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের আধিপত্যবাদ মোকাবিলায় জামায়াতকেই বেছে নেবে জনগণ

অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মিডিয়া সেক্রটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, দেশের মানুষ আগামী দিনে ভারতের আধিপত্যবাদ মোকাবিলার একমাত্র শক্তি হিসেবে জামায়াতকেই বেছে নেবে। বিএনপি মনে করেছিল ভারত বুঝি তাদেরকে ক্ষমতায় বসাবে। আসলে তারা এখন কিছুটা হতাশ হয়েছে। 

 

 

জামায়াতে ইসলামীর পার্লামেন্টারিয়াল বোর্ড, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী নির্বাচন ৩০০ আসনে এককভাবে করা হবে। এ জন্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জামায়াত। এখন থেকে সব পর্যায়ে তৎপরতা হবে মাঠ পর্যায়ে। কোনো জায়গা বাদ যাবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পলিটিক্যাল ননপলিটিক্যাল সবার কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে। তিনি আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে শহরের নগুয়ায় কিশোরগঞ্জ জেলা আমিরের শপথগ্রহণ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কোন রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আলাদা কোনো সম্পর্ক থাকবে না। আমাদের সম্পর্ক থাকবে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে। বাংলাদেশ কোনো রাষ্ট্রের প্রতি আকৃষ্ট হবে না। আমাদের স্বার্থ হলো ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থ। যেই দেশ আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য করতে আসবে। যে দেশ সর্বোচ্চ প্রফিট দিবে আমরা সেই দেশকেই সুযোগ দেব। সেটা চীন, জাপান, হিন্দুস্তান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বুঝি না। আমাদের দরকার দেশের ১৮ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক স্বার্থ।

 

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রটারি মাওলানা নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-ময়মনসিংহ অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা এনামুল হক, সাবেক জেলা আমির মাওলানা তৈয়বুজ্জামান, জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।

অ্যাডভোকেট আকন্দ আরও বলেন, এখন জোট হবে কি হবে না তা মাথায় রাখার দরকার নেই। জোট আলাদা জিনিস। আমরা যদি দেখি জোটবদ্ধ নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলনের উপকার হবে আমরা যাবো, তা-না হলে যাবো না। ইসলামের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দুনিয়ার স্বার্থকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী কোনো কাজ করবে না। এ সময় তিনি বলেন, দেশের সর্বোত্রই জামায়াতে ইসলামী একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

যদি জামায়াত একবছর সময় পায় তাহলে দেশের এমন কোনো গ্রাম থাকবে না যেখানে সংগঠন হবে না। এ ভয়টাই তারা করতেছে। সমস্ত গ্রামে যদি জামায়াতের সংগঠন দাঁড়িয়ে যায় তখন জামায়াত হয়ে যাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রতিরোধ সংগঠন। সুতরাং তারা চাচ্ছে তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়ে যাক, ক্ষমতায় আসবে তারা। এসব দিবাস্বপ্ন নিয়ে উনারা একটু থাকুক, আমরা আমাদের কাজ করতে থাকি।
 

তাজিন

×