গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় হেলিকপ্টারে করে কনের বাড়ি বিয়ে করতে এলেন বর রায়হান বাবুল। পেশায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী রায়হান বাবুল ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বিয়ে করতে আসেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার নিয়ে অবতরণ করেন তিনি। পরে পায়ে হেটে মাঠের পাশেই কনের বাড়িতে যান বর। কনে প্রতাপ গ্রামের স্কুল শিক্ষক এনামুল হোসেন হারুনের মেয়ে নাঈমা সুলতানা ঐশী। তিনি ঢাকার লালমাটিয়া কলেজের ভুগলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
বর রায়হান বাবুলের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার গাংগলিয়া চন্দন গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের পাঞ্জাব আলী মোল্লার ছেলে। শ্যামলী পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর ঢাকাতেই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করেন তিনি।
বিয়ে উপলক্ষে সকাল থেকেই কনের বাড়িতে ব্যাপক ধুমধাম ও সাজসজ্জার আয়োজন করা হয়। বিয়ের গেট, ডেকোরেশন, বরকে বরণ ও বিদায় দেয়াসহ আয়োজনের কোন কমতি ছিল না। মধ্যাহ্নভোজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বর রায়হান বাবুলের সঙ্গে বিয়ে হয় কনে নাঈমা সুলতানা ঐশির। স্থানীয় বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজী সাজ্জাদ হোসেন ১৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন। পরে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে রওনা দেন বর।
এদিকে, হেলিকপ্টারে চড়ে বর আসার খবরে উৎসুক এলাকার শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ ভিড় করেন স্কুলমাঠে। জামাই হেলিকপ্টারে নিয়ে বিষয়ে করতে আসায় খুশি নতুন বউ, শশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, হেলিকপ্টারে বর আসা এবং কনের বাড়িতে দাওয়া-দাওয়াসহ ধুমধামে বিয়ের অনুষ্ঠানটি স্থানীয় এলাকার মানুষ খুবই উপভোগ করেছেন।
গাইবান্ধায় হেলিকপ্টারে চড়ে বর বিয়ে করতে এলেন
শীর্ষ সংবাদ: