শীতের আগেই রাজধানীতে প্রচুর ধুলা উড়তে শুরু করেছে
শীতের এখনো অনেক বাকি। তবে রাজধানীতে ব্যাপক হারে ধুলাবালি উড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পথঘাট অনেকদিন ধরেই শুকনা। গত বর্ষার জলে গড়িয়ে আসা কাদা মাটি মূল রাস্তার সঙ্গে লেপ্টে ছিল অনেকদিন। টানা রোদ পেয়ে এখন মচমচে। ফলে ওপর দিয়ে গাড়ি চলার সময় প্রচুর ধুলা সৃষ্টি হচ্ছে। ভারি যানবাহনের চাকা অনবরত পিষতে থাকায় মাটি হয়ে গেছে ট্যালকম পাউডারের মতো। বাতাসের সঙ্গে বেদম উড়ছে। একই কারণে নিশ্বাসের মাধ্যমে সহজেই মানুষের ফুসফুসে ঢুকে যাচ্ছে।
প্রধান প্রধান সড়ক, অলিগলি, ফুটপাতÑ সবখানে একই অবস্থা। আর যেসব জায়গায় নির্মাণ কাজ চলছে সেসব জায়গার কথা তো বলাই বাহুল্য। আশপাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় আবার রাস্তা কেটে পাশেই মাটি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সেখান থেকেও উড়ছে ধুলা। বায়ু দূষণের বিষয়টি টের পাওয়া যায় ঢাকার গাছপালার দিকে তাকালেও। রাস্তার ধারে বেড়ে ওঠা গাছের পাতাগুলোকে আর সবুজ মনে হচ্ছে না। ধূসর বা কালো দেখাচ্ছে। বটগাছের পাতার মতো যেসব গাছের পাতা আকারে বড় সেগুলোতে ধুলাবালি সবচেয়ে বেশি। ট্রেনও চলছে ধুলা উড়িয়ে। ঢাকার ভেতর দিয়ে দিন-রাত চলছে ট্রেন।
ট্রেন যতবার চলছে ততবারই উড়ছে ধুলা। এ অবস্থায় অনেকে চোখ বন্ধ করে নাক চেপে ধরে পথ চলছেন। আর যারা সচেতন তারা ব্যবহার করছেন মাস্ক। এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি যে, বায়ু দূষণ থেকে বাঁচার এই একটিমাত্র পদ্ধতি আপনি নিজে অবলম্বন করতে পারেন। তাই মাস্ক ব্যবহারে হেলাফেলা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এদিকে, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বায়ু দূষণের কারণে এরই মাঝে নানা রকম অসুখ-বিসুখ দেখা দিচ্ছে। তাই সতর্ক না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চুরি প্রতিরোধ ॥ রাজধানীর চোর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হওয়ার পর মাঝখানে চুরি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি আবার মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। অবশ্য এর বিপরীতে সম্মিলিত প্রতিরোধের ঘটনাও ঘটছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শেওড়াপারা এলাকার একটি উদাহরণ এ প্রসঙ্গে টানা যেতে পারে। কয়েক দিনের আগের কথা। শেষ রাতে বড়সড় চুরির চেষ্টা চলছিল সেখানে। স্থানীয়দের বর্ণনা মতে, ফজরের আজানের আগে আগে সবাই যখন গভীর ঘুমে অচেতন ঠিক তখন একদল চোর একটি ভবনে ঢোকার জোর চেষ্টা চালায়।
ওই সময় শব্দ হলে চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে যান ভবনের বাসিন্দারা। তারা চোর দেখতে পেয়ে আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন। একটানা চিৎকার এবং কান্নার শব্দে আশপাশের ভবনের বাসিন্দারাও জেগে ওঠেন। দ্রুত বারান্দায় বের হয়ে আসতে থাকেন তারা। একসঙ্গে অনেক বাতি জ্বলে উঠলে চোরদের গতিবিধি লক্ষ্য করা সহজ হয়ে যায়। নিচে কর্তব্যরত দারোয়ানরাও হুইসেল বাজিয়ে এগোতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত সটকে পড়ে চোরের দল। এভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চুরি প্রতিরোধের উদাহরণ তৈরি করেন শেওড়াপাড়ার মানুষ। তাদের মতো সবাই সচেতন হলে, এক থাকলে আরও অনেক অন্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।