বাড়ির সামনে ছোট্ট উঠোনে শোভা পাচ্ছে নানান রকম শাক—সবজির বাগান। যা পরিবারে দৈনন্দিন শাক ও সবজির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি এনে দিয়েছে বাড়তি আয়ের সুযোগ। এসব বাগানের বীজ, সার, বেড়া ও পোকার ফাঁদসহ সবকিছুরই জোগান দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রাণীশংকৈলে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের বিষমুক্ত নিরাপদ শাক—সবজি একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা মিটাচ্ছে অপরদিকে বাড়তি ফসল বিক্রি করে আয়ও হচ্ছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় তৈরি হয়েছে এই ধরনের কয়েকশত পারিবারিক পুষ্টি বাগান।
পাটগাঁও এলাকার বাসিন্দা মাইনুউদ্দীন জানান, ‘ বাড়ির আঙিনায় পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য প্রথমে সয়েল বেড তৈরি করি। পরে অফিসের দেওয়া বিভিন্ন জাতের বীজ সেইসব সেডে বোপণ করি। এখন আমার বেডের চারপাশে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি লাগানো হয়েছে। বেডের দু'পাশে দেয়া মাচায় লাউ, শিম, করলা সহ বেডের অন্য দুই পাশে ফলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। এতে করে পুরো মৌসুমে পরিবারের চাহিদা মেটাতে কোন শাক-সবজি কিনতে হয়নি বরং বাড়তি শাক-সবজি বিক্রি করে আয় করছি ’। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো অনাবাদি ও পতিত জমির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এসব বাগানের শাক—সবজি গুলো নিরাপদ ও বিষমুক্ত হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ’।
রাজু