শীতকালীন আগাম সবজি চাষে অধিক লাভের আশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কৃষকেরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনুকূল আবহাওয়ায় উত্তম পরিচর্যায় বাম্পার ফলনের সম্ভবনা থাকায় আগামজাতের সবজি চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার প্রান্তিক কৃষকেরা। এরই মধ্যে লাউ, শশাঁ, স্কোয়াশ, ফুল কপি, বাঁধাকপি, বেগুনও ঢ্যাড়শসহ আরো কিছু শীতের আগাম সবজি বাজারে ওঠেতে শুরু করেছে। বাম্পার ফলন আর বাজারদর ভালো থাকলে আগাম সবজিতে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিসারদের পরামর্শে মৌসুম শুরুর আগেই এসব ফসল বাজারে তুলে বাড়তি দামও মিলছে।
উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, আগাম সবজি একটি বাড়তি ফসল। এই ফসল ঘরে তোলার সাথে সাথে আবার শীতকালীন সবজি আবাদ করা যায়। যে কারণে এর দামও বেশি পাওয়া যায়। একই এলাকার কৃষক আঃ ছালাম বলেন, এ বছর আগাম সবজি চাষে বৃষ্টিতে কিছু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও তারা লাভবান হবেন বলে আশা, কারণ এখন বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। উৎপাদন একটু কম হলেও কৃষক বেশি দাম পাচ্ছেন।
উপজেলা কষি কর্মকর্তা মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, এ বছর শীত মৌসুম শুরুর আগেই বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় যে পরিমাণ লাউ, শশাঁ, স্কোয়াশ, ফুল কপি, বাঁধাকপি, বেগুনসহ আগাম সবজি চাষ হয়েছে। আগাম সবজির বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় লাভবান হবেন কৃষকরা। কৃষি অফিস কৃষকদের উৎসাহ ও বিভিন্ন রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মাঝে স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি বিভিন্ন ধরনের সবজির বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল হক বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে আমাদের ফসল ওঠানো হয়। কিন্তু ওই সময় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পান না। অপরদিকে বর্ষার শেষে বাজারে সবজির যে অপর্যাপ্ততা তৈরি হয়, দামও থাকে বেশি। এসব কিছু মাথায় রেখে কয়েক বছর ধরে আমরা আগাম সবজি চাষে জোর দিচ্ছি।’
রাজু