ঢাকার দোহার উপজেলার শিলাকোঠা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় গত এক মাসের অতি-বৃষ্টিতে রাস্তা ডুবে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। রাস্তার দুই পাশে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর এই জলাবদ্ধতার জন্য প্রায় এক মাস যাবৎ এলাকাবাসীর জনদূর্ভোগ এখন চরমে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লতিফ ফকির বাড়ি থেকে মোঃ ইউসুব মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত, পূর্ব শিলাকোঠা নূরীয়া আশরাফিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসা থেকে শাহ-জালাল মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত এবং শেখ ভাসানী মাদবরের বাড়ি থেকে শেখ মাইনদ্দিন এর বাড়ি পর্যন্ত ও সিরাজের দোকান থেে মোঃ লৎফর রহমান এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে গত এক মাস যাবৎ পানিতে ডুবে রয়েছে। এই এলাকায় প্রায় ৫-৬ হাজার লোকের বসবাস। আর তাদের চলাচলের প্রধান রাস্তাই হচ্ছে এই রাস্তাটি। প্রতিদনই এই রাস্তা দিয়ে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাস যেতে হয় এলাকার লোকজনের। রাস্তাটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
এলাকাবাসী বলেন, গেলো প্রায় এক মাসের অতি-বৃষ্টিতে আমাদের এই রাস্তাসহ আশেপাশের সকল জায়গাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশনের জন্য নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন যাবত এই জলাবদ্ধতার জন্য আমরা এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছি। আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে পারে না। আমাদের নামাজ আদায় করতে মসজিতে যেতে অনেক দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। আমাদের রাস্তার এই জলাবদ্ধতা নিস্কাশনের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। আমরা দ্রæত প্রশাসনের পানি নিস্কাশনের জন্য সাহায্য কামনা করছি।
শিলাকোঠা এলাকার শাহজাহান মুন্সী বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে আমরা অনেক কষ্টে আছি। বাড়ি থেকে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বের হওয়া কঠিন হয়ে গেছে। এই রাস্তাটি যদি দিনের পর দিন এই ভাবেই পানির নিচে ডুবে থাকে তাহলে যেকোন সময় হতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা।
শিলাকোঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিপ মোল্লা বলেন, গত এক মাসে প্রচুর বৃষ্টির কারণে আমাদের এই রাস্তাটি পানি দিয়ে ডুবে গিয়ে জলাবদ্ধা তৈরি হয়েছে। রাস্তাটি ডুবে যাওয়ায় আমরা বাড়ি থেকে বেড় হতে পারছি না। আমাদের স্কুলে যেতে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
শিলাকোঠা এলাকার রব শেখ নামের এক বৃদ্ধা বলেন, রাস্তার এই পানির জন্য আমরা ঠিকমত মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারি না।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রæত এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে জনদূর্ভোগ লাগবে এগিয়ে আসবে প্রশাসন।
সুজন/ জাফরান