টিটোকে যৌথবাহিনী আটক করেছে।
কেশবপুরের ত্রাস মেয়র বাহিনীর প্রধান আলমগীর সিদ্দিক ওরফে টিটোকে যৌথবাহিনী আটক করেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় কেশবপুর শহরের হাসপাতাল পাড়াস্থ নিজ বাসভবন থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে। গোপন সংবাদের ভিত্ততে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা এই আলোচিত সন্ত্রাসীকে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটক টিটো একজন সন্ত্রাসী এবং কেশবপুরের ত্রাস হিসাবে চিহ্নত । তার বিরুদ্ধে কেশবপুরের মানুষকে জিম্মি করে শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি এবং নিয়োগ বাণিজ্যের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এক সময় দন্ত চিকিৎসা ছিল যার আয়ের প্রধান উৎস। সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের সময় তিনি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যান। তার বাড়িতে ছিল কালো টাকা গণনার মেশিনও। বিগত পাঁচ বছর কেশবপুরে এমন কোনো অন্যায় কাজ নেই যে কাজের সাথে এই টিটো জড়িত ছিল না। সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের কতিথ এপিএস ও প্রভাবশালী মেয়র রফিকের ভাগ্নে হওয়ায় তার নামে থানায় কেউ মামলা করার সাহস পায়নি।
তার কাছে আগ্নেয় অস্ত্র দেখেছে একাধিক ব্যক্তি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমপির প্রভাবে সে হাট বাজার ইজারা, হাসপাতালের টেন্ডার, উপজেলা পরিষদের সকল টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণ করত। উপজেলাব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সমুদয় টাকা টিটো নিজ হাতে গ্রহণ করতেন। নিজস্ব বাহিনীর তৈরি করে শহরের মহড়া দিতেন। তার বাহনী দ্বারা একাধিক ব্যক্তি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা তাকে এখনো থানায় সোপর্দ করেনি যৌথবাহীনি।
টুম্পা