মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রধান সড়কের ওপর দোকান
ঘিওর উপজেলার হাট ও বাজারে যত্রতত্র দোকানপাট বসায় এলাকার লোকজনের যাতায়াতসহ এবং ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ঘিওর, গরু হাট, ঘিওর মাছ বাজার, কাঁচা মরিচ হাট ও মেইনরোডের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র দোকানপাট বসায় বাজারের লোকজনের চলাচলে দারুণ অসুবিধা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম অসুুবিধা হচ্ছে। ২০১১ সালে ঘিওর, কাপড় হাট, গরু হাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বাজারের জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা জমিগুলো বন্দোবস্ত নিয়ে অনেকে সেমিপাকা ঘর তুলে দখল করে নেয়। অনেকে ব্যবসা করার নাম করে জমি বন্দোবস্ত নিয়ে পজিশন বিক্রি করে দেয়। ফলে বাজারের যাতায়াতের জায়গার পরিমাণ কমে গেছে।
বাজার কমিটির পক্ষ থেকে অনেক নিষেধ করার পরেও তারা কোনো ধরনের তোয়াক্কা করেনি। দোকানদাররা ইচ্ছা সাধ্যমতো দোকানপাট করছে। এদিকে বাজারের আনাচে কানাচে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি হাট বাজার থেকে নিয়মিত ট্যাক্স, পাহারার চাঁদা, সুইপার ট্যাক্স আদায় করা হলেও ময়লা আবর্জনা ফেলার কোনো ডাস্টবিন ও গণশৌচাগার নেই। নেই ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা। পুরাতন গরুহাট বাঁশপট্টি, মাছ বাজার ও কসাইখানাটি নোংরা আবর্জনার গন্ধে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো দোকানদারি করতে পারে না। মশা, মাছির উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করা হলেও বাজারের উন্নয়ন নেই।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতীন মুসা জানান, বাজারের দোকানপাট একসনা বন্দোবস্ত দেওয়ার কারণে বাজারের আয়তন কমে গেছে। ফলে হাটের দিন রাস্তার ওপরে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট বসে। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরজানা আক্তার সাথী জানান, আমি বাজারে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।