ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

ইসকনবিরোধী পোস্টের জের

চট্টগ্রামের হাজারি লেনে রাতভর হাঙ্গামা ॥ যৌথবাহিনীর ১২ সদস্য আহত, আটক

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের হাজারি লেনে রাতভর হাঙ্গামা ॥ যৌথবাহিনীর ১২ সদস্য আহত, আটক

ফেসবুকে ইস্কনবিরোধী একটি পোস্টকে  কেন্দ্র করে বিক্ষোভ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইস্কনবিরোধী একটি পোস্টকে  কেন্দ্র করে বিক্ষোভ এবং পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় ৮২ জনকে আটক করা হয়েছে।  সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হাজারি গলিতে দুর্বৃত্তের ছোড়া ইটপাটকেল ও এসিড নিক্ষেপে ৫ সেনা সদস্য এবং ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অপরদিকে এ ঘটনার পর রাতেই ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যৌথবাহিনী দোকান সিলগালা করে দেয়।

এদিকে ইসকন জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। সেইসঙ্গে নিরীহ জনসাধারণ যেন কোনো হয়রানির সম্মুখীন না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্মীয় এ সংগঠনটি। অপরদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাজারি লেনের ঘটনার সঙ্গে ইসকন সমর্থকরা জড়িত। এতে পুলিশের ৯ সদস্য আহত হয়েছেন। 
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনার পর পুরো চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়ানো হয়েছে যৌথবাহিনীর টহল ও তৎপরতা। রাতে ১৪৪ ধারা জারি ছিল, বুধবার তা না থাকলেও ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে। বন্ধ ছিল সেখানকার সকল দোকানপাট।  হাঙ্গামায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান।
যা হয়েছিল সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ॥ সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান,  ‘ইসকন’ নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় হাজারি লেনে। পরে পুলিশ গেলে পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তখন এ ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে।
পুলিশ পরে পোস্টদাতা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়ে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মূলত ইসকন নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হয় বিক্ষোভকারীরা। এ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয় মিয়া শপিংয়ের সামনে। মিয়া শপিং কমপ্লেক্সেও মোল্লা স্টোরের  ওসমান গণি ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন। সেখানে ইসকন নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য ছিল উল্লেখ করে ওই দোকান ভাঙচুর করার চেষ্টা হয়। পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণের চেষ্টাও হয়।
হাজারি লেনের এক ফার্মেসি মালিক জানান, ইসকন নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন বলে পোস্ট করা হয়। এর সূত্র ধরেই এই কা-। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনায় রাতে  কয়েকজনকে আটক করলে সেখানে থাকা বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এরপর বাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করেন। এর পর যা হয়েছে তা তো ফেসবুকেই ভাইরাল হয়েছে। চারদিকে পিটিয়েছে। যাকে পেয়েছে ধরে নিয়ে গেছে। 
এদিকে এ ঘটনার পর থমথমে ছিল হাজারি লেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও সকালে শিথিল করা হয়। অপরদিকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের খুঁজতে থানায় থানায় দৌড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। কোতোয়ালি থানায় সনাতন সম্প্রদায়ের নারীপুরুষের ভিড় ছিল সকালে। পরে সেনাসদস্যরা থানার সামনে থেকে সরিয়ে দেন লোকদের। অপরদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে পুরো চট্টগ্রামে নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাজারি লেনের সকল প্রবেশপথেই নিয়োজিত করা হয় যৌথবাহিনীর সদস্যদের। 
যৌথবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে যা বলা হয় ॥ এ ঘটনার বিস্তারিত জানাতে বুধবার বেলা ১২টায় যৌথবাহিনী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে টাস্কফোর্সের মুখপাত্র  লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফেরদৌস আহমেদ  বলেন, গত ৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় ওসমান আলী নামের এক ব্যক্তির ইসকনবিরোধী এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে হাজারি লেনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আনুমানিক ৫শ’ থেকে ৬শ’ দুষ্কৃতকারী ওসমান ও তার ভাইকে হত্যা এবং জ্বালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়।
স্থানীয় কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যের ৬টি গাড়ি সেখানে পৌঁছে। বিশৃঙ্খলাকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় জানমাল রক্ষা এবং মব জাস্টিস রোধে  যৌথবাহিনী ওসমান ও তার ভাইকে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করা হলেও তারা আরও আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে।
তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা এসময় যৌথবাহিনীর ওপর জুয়েলারি কাজে ব্যবহৃত এসিড নিক্ষেপ ও ইটপাটকেল  ছোড়ে। এতে সেনাবাহিনীর ৫ এবং পুলিশের ৭ সদস্য আহত হন। বর্তমানে ৫ সেনা সদস্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দুর্বৃত্তরা ইট ছোড়ে সেনাবাহিনীর একটি পিকআপ ভ্যানের উইন্ডশিল্ড ভেঙ্গে ফেলে।
সংবাদ সম্মেলনে টাস্কফোর্সের মুখপাত্র বলেন, উদ্ধার অভিযানের পর দুর্বৃত্ত শনাক্তে হাজারি লেনে যৌথবাহিনীর ১০টি টহল দল ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় গেলে পুনরায় দুষ্কৃতকারীরা এসিড সদৃশ বস্তু নিক্ষেপ করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন ৮০ জনকে আটক করা হয়। বর্তমানে সিসিটিভি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রকৃত দুষ্কৃতিকারী চিহ্নিত করা হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের আটক করতে অভিযান চলমান আছে এবং হাজারি লেনসহ নগরীর অন্যান্য এলাকা নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হাজারি লেনের দোকান সিলগালার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে টাস্কফোর্সের মুখপাত্র বলেন, ওই এলাকায় যেহেতু যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওপর এসিড নিক্ষেপ হয়েছে সেহেতু ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দোকান সিলগালা করা হয়। আমরা এ ঘটনায় কারা জড়িত তাদের খুঁজছি। তদন্ত করে দোকানগুলো সহজাত-স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা হবে। 
দুষ্কৃতকারীদের কোনো পলিটিক্যাল চরিত্র থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তাদের পরিচয় তারা দুষ্কৃতকারী। 
পুলিশ যা জানিয়েছে ॥ সিএমপির উপ-কমিশনার (ক্রাইম) রইছ উদ্দিন জানান, হাজারি লেনের ঘটনায় উচ্ছশৃঙ্খল জনতা ওসমান আলীকে অবরুদ্ধ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তিনি দাবি করেন, পুলিশের ৯ জন আহত হয়েছেন, এর মধ্যে একজন এসিড আক্রান্ত। তাকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৮২ জনকে আটক করা হয়েছে। কোতোয়ালী থানায় এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিএমপির এ কর্মকর্তা জানান, যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে বিপুলসংখ্যক লোককে আটক করেছি, তাই সেখানে কার কোথায় সম্পৃক্ততা রয়েছে তা যাচাই-বাছাই চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর যেহেতু আক্রমণ হয়েছে তাই মামলার বাদী হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফেসবুকে যার পোস্ট দিয়ে ঘটনা সেই ওসমান আলী পুলিশের হেফাজতে আছেন।
হাজারি লেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের অন্যতম ওষুধের পাইকারী মার্কেট। সেখানে দোকান সিলগালা প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দোকান বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা নেই। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনো অপতৎপরতাকারী যাতে নাশকতা, লুটপাট করতে না পারে এজন্য কিছু দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য যৌথবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যতটা জানা গেছে, সেখানে যারা জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিয়েছে, ফেসবুকে যে প্রচার-প্রচারণা হয়েছে এবং আমাদের যে গোয়েন্দা তথ্য সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি-ইসকন সমর্থকরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সেখানে জুয়েলারির দোকান থেকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, কোনো গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে কি না তা গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। 
তিনি আরও বলেন, শান্তি শৃঙ্খলার নগরী হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে চাই, এজন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শান্ত নগরীকে যারা বিশৃঙ্খল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম সবসময় চলমান রয়েছে। একটি ইস্যুকে তৈরি কওে যেখানে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করা হয়েছে, সেটি বাণিজ্যিক এলাকা। এজন্য সেখানে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা উপস্থিতি রয়েছে।

আমরা সব সময় শান্তি শৃঙ্খলার পক্ষে। কোনো ছোটখাটো ইস্যুকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা না করা হয় এজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। এটা পূর্বকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিকভাবে করা হয়েছে তা তদন্ত পরবর্তী জানা যাবে। এ ঘটনায় কেউ যদি ওসমান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। ওসমান আলীর পোস্ট নিয়ে কোন্্ উদ্দেশ্য ছিল, তা তদন্ত করা হচ্ছে। 
ইসকন যা বলল ॥ এদিকে ৫ নভেম্বরে হাজারি লেনে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসকন বিবৃতি দিয়েছে। ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়ার সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) বাংলাদেশকে নানাভাবে জড়িয়ে আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। আমরা এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, ইস্কন বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সংগঠন, যা সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবকল্যাণে নিবেদিত। 
বিবৃতিতে বলা হয়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সর্বজীবে দয়া, প্রেম, সেবা ও অহিংস নীতির বাণী অবলম্বন করে ইস্কন বাংলাদেশের কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার করছে। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই ঈশ্বরের সৃষ্টি এবং পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনই আমাদের নীতি। এজন্য ইসকন দুর্যোগকালে আর্তজনের মধ্যে উদারতার সহিত ত্রাণকার্য ও সামাজিক সহায়তা পরিচালনা করে আসছে, যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাজারি লেনে সংঘটিত হামলা-ভাঙচুরসহ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।

আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি যে, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এ সকল ঘটনার সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা রোধে পর্যাপ্ত সময় পূর্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সরকার ও প্রশাসনকে সবিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি এবং সেইসঙ্গে নিরীহ জনসাধারণ যেন কোনো হয়রানির সম্মুখীন না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। সরকারের প্রতি আমাদের বিশেষ আহ্বান, তারা যেন যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করেন এবং যে কোনো ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রবাহ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ইসকন বাংলাদেশের সমুজ্জ¦ল ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার ক্ষেত্রে সরকারসহ সর্বমহলের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রার্থনা করছি।

×