রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ - চেকপোস্ট ব্যস্ততম সড়কটি দুর্ঘটনার ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সড়কটিতে দুর্ঘটনা যেনো নিত্যদিনের খবর। ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি আকারে সরু হওয়ায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। উপজেলার ধর্মগড় ও কাশিপুর ইউনিয়নের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। কৃষি মৌসুমে প্রতিদিন বড় বড় ট্রাক সহ কৃষি পন্যবাহী বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি ১২ ফিট প্রস্থ হওয়ায় একটি গাড়ি অপর একটি গাড়ীকে ক্রসিং করতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়, ফলে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া এ সড়কের পাশে দুটি কলেজ সহ কয়েকটি প্রাইমারি স্কুল, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে। সড়কটি বেহাল অবস্থা এবং সরু হওয়ার কারণে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের সড়কে দুর্ঘটনার ভয় নিয়ে চলাচল করতে হয়। নেকমরদ বাজারের বাসিন্দা শাকিল বলেন, সড়কটি প্রশস্ত করা জরুরী হয়ে পড়েছে। খুব দ্রুত এ সড়কটি প্রশস্তকরণ করা দরকার। নাহলে দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে। ধর্মগর ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজার এলাকার বাসিন্দা আহসান হাবীব শান্ত বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে যেকোনো কৃষি মৌসুমে যানবাহনের যাতায়াত এতটাই বেড়ে যায় যে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর সময় রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে সবসময় ভয় ভয়ে থাকতে হয়। রাস্তাটি বড় হলে যানবাহনসহ পথচারীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নেকমরদ, ধর্মগড় ও কাশিপুর এ তিন ইউনিয়নের মানুষের দাবি সড়কটি যেন ২৪ ফিট প্রসস্থ করা হয়। ঠাকুরগাঁও নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘সড়কে যানবাহন ও পথচারীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এটি পিএমপি মেজর প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল তবে সেটি অনুমোদন হয়নি। পরবর্তীতে জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে সড়কটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে’।