টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসময়ে এই শিলাবৃষ্টির ফলে রোপা আমন ধান ও সবজি সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার(৬ নভেম্বর) রাতে এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়।
অনেকে বলেছেন, এর আগে শীত মৌসুমে এত শিলাবৃষ্টি কখনো দেখেননি তারা। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, শিলাবৃষ্টিতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষতির হয়েছে তা নিরূপণ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ শুরু হয় শিলা বৃষ্টি। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও শিলার স্তূপ জমে বরফের মতো সাদা হয়ে যায়। পৌষের এই শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আঘাতে মাটির সঙ্গে নুইয়ে পড়েছে উঠতি ফসল ধান সহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি। শিলাবৃষ্টির ফলে ফসল ও ফলের মুখ দেখার আগেই মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৯ হাজার ৯শ ৫০ হেক্টর ধান আবাদ করা হয়েছে।
বীরতারার বাজিতপুর এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, ৩ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতের শিলাবৃষ্টিতে ৩ বিঘা জমির ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। একই এলাকার কৃষক নূরুল ইসলাম বাবু বলেন, এমন শিলাবৃষ্টি আগে কখনো দেখিনি আমি। এতে আমার ২ জমির ধান পানিতে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে শিলাবৃষ্টির পর ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের খেত দেখতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদের নেতৃত্ব একটি বিশেষ টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহারিয়া আক্তার, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার দেলোয়ার হোসেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার ফরিদ আহম্মেদ, কৃষক সুজন মাহমুদ ও মিজানুর রহমান সহ অন্যান্যরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, উপজেলার কিছু এলাকার ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত ভাবে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। শিলাবৃষ্টিতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে তা নিরূপণ করা হচ্ছে। আমাদের অফিসারগণ মাঠে থেকে কৃষকদের যেন সব ধরনের সহযোগিতা দেন, সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হাফিজ/ হাসান
