গাজীপুরে শ্রীপুরে স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে হিসাব চাওয়ায় শিক্ষক নেতা ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের বসত বাড়ী লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটেছে। তারা শিক্ষকের শয়ন কক্ষের পশ্চিম পাশের জানালা লক্ষ্য করে তিনটি গুলি করে। গুলি লেগে জানালার দুইটি গ্লাস ফুটো হয়ে যায়। বুধবার (০৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে বরমী পাঠানটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মাহমুদুল হাসান বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এবং ওই এলাকার তালেম হোসেনের ছেলে। সে বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি এবং গাজীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ। এ ঘটনায় একই এলাকার আমীন মীরের ছেলে সৈকত মীর, নূরুল ইসলামের ছেলে শরীফ ও তাদের অজ্ঞাত সহযোগীদেরকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত আভযোগ দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা ও শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জানান, সৈকত মীর বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য। সে স্কুলের কার্যক্রমে বিভিন্ন সময় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সোমবার (০৬ নভেম্বর) এসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে স্কুলের ভিতরেই তাকে হুমকি দেয়। ওই দিনই স্কুলের জলপাই গাছের নীচে (জলপাইতলা) বাড়াবাড়ি না করার কথা বলে আবারো আমাকে শূট করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পূর্বেও স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে সৈকত মীরের সাথে তিনবার কথা কাটাকাটি হলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তিনি বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ প্রধানকে এসব ঘটনা জানিয়েছেন। রাতে হঠাৎ তিনটি গুলি জানালার গ্লাস ফুটো হয়ে ঘরের দেয়ালে ঢুকে পড়ে। গুলির ঘটনার পর আতঙ্কে ওই রাতে ঘুমাতে পারিনি।
অভিযুক্ত সৈকত মীরের মুঠোফোনে (০১৬০১-১৬৪২৭৩) একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ প্রধান বলেন, সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাহমুদুল হাসানের বাড়ীতে গুলির বিষয়ে জানতে পারি। পরে সকালে ওই নেতার বাড়ীতে গিয়ে পুলিশ দেখতে পাই। তবে কারা কেন গুলি করেছে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গুলির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি।
রাজু