পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা ও শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করায় জেলার উজিরপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রবিউল সরদারের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় যুবদল নেতার বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুরো ঘটনার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একইদিন দুপুরে গুঠিয়া মহেশ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষকদের নিয়ে আমার অফিস কক্ষে সভা চলছিলো। হঠাত করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রবিউল সরদার টেবিলের ওপর লাফ দিয়ে উঠে বসেন। তার বসারস্থানে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখা ছিলো। এছাড়া সভায় উপস্থিত শিক্ষকসহ সবার সাথে তিনি খারাপ আচরণ করেছেন।
তবে অভিযুক্ত উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রবিউল সরদার বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। আমাকে না জানিয়ে মিটিং করা হয়। তাই আমি রাগান্বিত হয়ে চেয়ার খালি না থাকায় টেবিলের ওপর উঠে বসেছিলাম। তবে কোরআন শরীফ অবমাননা করিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের গুঠিয়া বন্দরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা ও শিক্ষকদের গালিগালাজ করায় যুবদল নেতা রবিউল সরদারকে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। নতুবা পরবর্তীতে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর সকালে উপজেলার গুঠিয়া মহেশ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্যদের সভা চলাকালীন সময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও যুবদল নেতা রবিউল সরদার অফিস কক্ষের টেবিলের ওপর লাফ দিয়ে উঠে বসে পরেন। ওই টেবিলের ওপর পবিত্র কোরআন শরীফ রাখা ছিলো।