নিখোঁজ ব্যবসায়ী মো: সুলতান আহম্মেদ
ভোলা শহরের মহাজপট্রি এলাকার বিশিষ্ট সার ও সিমেন্টের ডিলার ব্যবসায়ী আহমেদ ট্রেডার্সের মালিক মো: সুলতান আহম্মেদ ৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি ভোলার সাবেক সার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছিলেন। ভোলা মডেল থানায় জিডি হওয়ার পর বুধবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ তার কোন সন্ধান পায়নি। গত সোমবার ৪ নভেম্বর রাতে তিনি ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। এদিকে মোবাইলে একটি নাম্বার থেকে সুলতনান আহমেদ মিয়ার পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবী করা হয়েছে। ভোলার এই ব্যবসায়ী মো: সুলতান আহম্মেদ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে ভোলা মডেল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নং ২৯১। এদিকে সুলতান আহম্মেদের পরিবারের পরিবার চরম দু:চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
সুলতান আহম্মেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি ব্যবসায়ীক কাজে গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভোলা থেকে কর্নফুলী লঞ্চযোগে ঢাকায় যান। তিনি ঢাকায় পৌছে হোটেল পীর ইয়ামিনিতে ওঠেন। সোমবার রাত ৯ টা ৪৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে শেষ বারের মতো মোবাইলে ফোন দিয়ে জানান, তিনি ওই রাতে ঢাকা থেকে রাজারহাট লঞ্চযোগে ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। তার মোবাইলে চার্জ নেই বন্ধ হয়ে যাবে। চার্জার হোটেলে ফেলে আসেন। লঞ্চে গিয়ে লঞ্চের বয়দের কাছ থেকে চার্জার ম্যানেজ করে মোবাইলে চার্জ দেওয়ার কথাও বলেন তার স্ত্রী। কিন্তু তার পর আর রাতে স্ত্রীর সাথে কথা হয়নি। তবে রাত পৌনে ১১ টায় ভোলায় সুলতনান আহম্মেদের ব্যবসার পরিচালনাকারী শ্যালক মিজানের সাথে তিনি কথা বলেন। দোকানের বেঁচো কেনা কতো হয়েছে দোকানে খবর নেন। টাকা পয়সা কাছে রাখতে বলেছেন। টাকা পয়সা লাগবে বলে ফোনে বলেন। পরিবারের সদস্যরা ভেবে ছিলো সকালে তিনি ভোলায় এসে বাসায় পৌছবেন। কিন্তু সকালে তিনি আর আসেননি। তার পর অনেক খোঁজা খুজি করেও তার কোন হদিস না পেয়ে তারা ভোলা থানা পুলিশের সহায়তা পেতে জিডি করতে যান। ভোলা থানার ওসি তাদের বলেন, পুলিশ ট্রাকিং করে তার সর্ব শেষ মোবাইলে কথা বলার লোকেশন টঙ্গী গাজীপুর পেয়েছেন।
সুলতান আহম্মেদের স্ত্রী আরো জানান, তারা ঢাকা হোটেল পীর ইয়ামিনীতে যোগাযোগ করেছেন। হোটেল ম্যানেজার জানিয়েছেন সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় তিনি হোটেল ত্যাগ করেন ভোলায় আসার উদ্দ্যেশে। এদিকে জিডিতে উল্লেখ করা হয়, সুলতান আহম্মেদের সাথে সারের ডিলার নাজিম উদ্দিন বাবুল মিয়া সাথে ছিলেন।
সুলতান আহম্মেদ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় এক ব্যাক্তি ফোনে বলেন, তিনি সুলতান আহম্মেদ তাদের কাছে অচেতন অবস্থায় আছেন । সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ০৯৬৭৮৬৩৬৭৩৫ নাম্বার থেকে সুলতান আহম্মেদ এর পরিবারের মোবাইলে এক ঘণ্টার মধ্যে ১ লক্ষ টাকা রেডি করে রাখতে বলেন। তার পর আমরা বলবো কোন নাম্বারে টাকা পাঠাতে হবে। কিন্তু সুলতান সুলতান আহম্মেদের সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো: হাচনাইন পারভেজ জানান, সুলতান সুলতান আহম্মেদ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ারর ঘটনায় গত রাতে ভোলা থানায় একটি জিডি হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু বুধবার বিকালে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত তার কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।তার পর সুলতনান সুলতান আহম্মেদের মোবাইলের শেষ কল লোকেশন খো গেছে টঙ্গী রেল এলাকায় ।
রাজু