ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

বিএনপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ৬ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বাগেরহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ড়েমা ইউপির সাবেক মেম্বার বিএনপি নেতা সজীব তরফদার হত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। বুধবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। সমাবেশে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জনপ্রিয় সজীব তরফদার হত্যার ঘটনাকে পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকান্ড উল্লেখ করে খুনীদের অবিলম্ভে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবী করেন।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আলম, কামরুল ইসলাম গোরা, শমশের আলী মোহন, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, শাহেদ আলী রবি, নাসির আহমেদ মালেক, মাহবুবুর রহমান টুটুল, শাহিদা আক্তার, সরদার লিয়াকত হোসেন, মো: কামরুজ্জামান, সুজন মোল্লা, আলী সাদ্দাম দীপসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এ সময় সহস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট জেলা শহর থেকে গ্রামের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কাড়াপাড়ার মির্জাপুরের দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের কাছে বাগেরহাট-রামপাল সড়কের ওপর ওৎ পেতে থাকা মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সজীব তরফদারকে কুপিয়ে ও গুলিকরে হত্যা করা হয়। এসময় মটরসাইকেলে থাকা সজিবের চাচা কামাল তরফদার গুরুতর আহত হন। নিহত সজীব তরফদার(৪২) বাগেরহাট সদরের ডেমা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য এবং সিদ্দিক তরফদারের ছেলে। তিনি ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহব্বায়ক ছিলেন। ঘটনার পর বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো: তৌহিদুল আরিফ-সহ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেনাবাহিনী ও পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিকেলের দিকে সজিব তরফদার । পথিমধ্যে মির্জাপুর মধ্যপাড়া মসজিদের সামনে এলে সন্ত্রাসীরা তার মাথা লক্ষ্য করে প্রথমে দুইটি গুলি করে। এরপরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা সজিবের চাচা কামাল তরফদার গুলিতে আহত হন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো: তৌহিদুল আরিফ জানান, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বুলেটের খোসা ও একটি দা-সহ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাওয়া বুলেটের খোসা থেকে বোঝা যায় এটা শটগানের গুলি। ধারণা করছি শটগান দিয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল, হত্যাকারীরা মুখোশ পরা ছিল। নিহতের লাশ বাগেরহাট মর্গে আনা হয়েছে। হত্যার কারন উদঘাটন ও হত্যাকারীদের আটকে ইতোমধ্যে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে।

বাবুল/জাফরান

×