মানববন্ধন কর্মসূচী
পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারকে চাষাবাদের সুযোগ দেওয়া এবং লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে লালুয়ার কৃষকরা ফুঁসে উঠেছেন। তারা গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় লালুয়ার বানাতি বাজারে এ মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এসব জমিতে এখনও কৃষকরা চাষাবাদ করছেন। কিন্তু হঠাৎ করে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বছর মেয়াদী চুক্তিতে চাষাবাদের জন্য একর প্রতি নয় হাজার টাকায় ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই খবরে কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বানাতিবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। লিজ প্রক্রিয়া প্রতিহতের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের প্রস্ততি নিচ্ছেন।
সেখানে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস, সংগঠক মজিবর রহমান প্যাদা, সজল বিশ্বাস, মো. ইব্রাহীম, নাইমুল ইসলাম, কৃষক আব্দুস সোবাহান, জসিম উদ্দিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘লালুয়ায় পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত কৃষি জমি আমরা দেশের উন্নয়ন কাজে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত বহু পরিবার ক্ষতিপুরন পাইনি। এখন চাষাবাদ করার জন্য প্রায় দুই হাজার একর লিজ দেওয়া হচ্ছে। বাইরের কাউকে লিজ দেওয়া যাবে না। আমরা মানবিক কারণে এই জমি পায়রা বন্দরের কাজে ব্যবহারের আগ পর্যন্ত চাষাবাদ করার দাবি জানাই। পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কাজে জমি দরকার হলে তখন ছেড়ে দেওয়া হবে।’ কৃষকরা তাদের বাদ দিয়ে বাইরের কাউকে লিজ দেওয়া হলে তা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। মানববন্ধনে লালুয়ার শত শত কৃষকসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন। বর্তমানে এই জমি লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়ার খবরে শত শত কৃষক পরিবার আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় রয়েছেন। তাদের ফসল উৎপাদন বন্ধের শঙ্কায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৩১ অক্টোবরের এক বিজ্ঞপ্তিতে অধিগ্রহণকৃত জমিতে ‘ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভূমি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০২২’ অনুসারে সম্পুর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে অনধিক এক বছরের জন্য কৃষিকাজের নিমিত্ত ইজারা প্রদান করার জন্য দরখাস্ত আহŸান করেছেন। আবেদনকারীকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে একর প্রতি বছরে নয় হাজার টাকা প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম জামানত দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে লিজ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা মানববন্ধন সমাবেশ করেন। পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদী উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার মো. নাজমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, লালুয়ার প্রকৃত কৃষকের আবেদন পেলে বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
টুম্পা