শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান
১৯ বছর পর ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের নতুন আমির নির্বাচিত ও নবনির্বাচিত আমিরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা জামায়াতের কার্যালয় চত্বরে মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক মাওলানা মো. আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা মো. আব্দুল হালিম। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আলমগীর, সহকারী সেক্রেটারি কফিল উদ্দিন আহমেদসহ অনেকে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দুই বছরের জন্য (২০২৫-২০২৬) নবনির্বাচিত জেলা আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধানকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
এ সময় জানানো হয়, নানান জটিলতার কারণে বিগত ১৯ বছর নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি ফলে ১৯বছর ধরে টানা জেলা আমীরের দায়ীত্ব পালন করেছেন, অধ্যাপক মাওলানা মো. আব্দুল হাকিম। ১৯ বছর পর এবার নতুন আমির নির্বাচিত হলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান। শপথ গ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত জেলা আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান নবী রাসুলের পথ অনুসরণ করে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে ইসলাম ও সাংগঠনিক কাজ পালনের জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মো. আব্দুল হালিম জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এদেশের জনগণের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করে ইসলাম কায়েম করতে চায় উল্লেখ করে বলেন, জামায়াত জোর করে, চরমপন্থায় বা উৎখাত এবং নির্মূলের রাজনীতি করে দেশে দ্বীন কায়েম করতে চায় না। দেশের জনগণই বলবে দেশের জন্য জন্য আদর্শ হচ্ছে ইসলাম। এখন হিন্দু খ্রিস্টানরাও বলছেন জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে তাদের অধিকার ফিরে পাবে।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকারের কথা কারা বলে তারা এখন এটা বুঝতে পারছেন। মানুষ বুঝতে পারছে কারা ক্ষমতায় গেলে দখলদারিত্ব থাকবে না। মানুষ এউ জানে এই পরিবর্তনের মধ্যে মানুষের কাছে গিয়ে কারা চাঁদা দাবি করছে। কারা বলে শান্তিতে থাকতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। আর জামায়াতে ইসলামী বলে সকলে নিরাপদে থাকুক। এসময় তিনি কেউ কারো কাছে চাঁদার জন্য এলে জামায়াতের নেতাদের জানানোর আহ্বান জানান। কারণ চাঁদাবাজরাও জামায়াতকে ভয় করে। তবে জামায়াত কাউকে শত্রু মনে করে না।
মাওলানা মো. আব্দুল হালিম বলেন, যারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিল তাদেরকেই বাংলাদেশের জনগণ এখন নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামী তিনবার নিষিদ্ধ হয়েছে। তিনবারই আবার আইনগতভাবে জামায়াতে ইসলামী অধিকার ফিরে পেয়েছে। এবার স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকার পতনের ২-৩ দিন আগে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু দুইদিন পর তারাই দুপুরের খাওয়া না খেয়েই বিদায় নিয়েছে। পরে অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মংগল কামনায় মোনাজাত করা হয়।