ফিটনেসবিহীন মোটর বাইকের অবাধ চলাচল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ফিটনেসবিহীন মোটর বাইকের অবাধ চলাচলে স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
বিশেষ করে সাইলেন্সার পাইপ খুলে মোটরসাইকেলের শব্দ আরো তীব্র করে তোলা হচ্ছে, যা একদিকে শব্দ দূষণ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে শব্দদূষণের ফলে দিন দিন মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে বধিরতা, যা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই ফিটনেসবিহীন বাইকের কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে।
আবার বিভিন্ন সড়কে প্রায়শই দেখা যায়, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা পেছনে এক বা দুইজন আরোহী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গতিতে চলাচল করছে। দেশে প্রতি বছরই বাড়ছে শব্দদূষণের মাত্রা। যেখানে শব্দেক মাত্রা ৫০ ডেসিবেল থাকার কথা, সেখানে উপজেলার কোথাও নিয়ন্ত্রণ নেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, এক দশকের ব্যবধানে হৃদরোগ এবং শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। এর পেছনে শব্দ দূষণ অনেকাংশে দায়ী।
এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানোর ফলে পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের চালকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি, যা নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অনেকে অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের নিরবতার কারণে যুবকদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব তৈরি হচ্ছে এবং তারা আরো বেশি সাহস পাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত এই বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মোটরসাইকেলের বৈধ ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স যাচাই করতে রাস্তায় অভিযান চালানো এবং শব্দ দূষণ রোধে জরিমানা ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এছাড়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দীন দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘উচ্ছৃঙ্খল ও বেপরোয়া গতির চালকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাইড্রলিক হর্নের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আমাদের অভিযান চলমান।’