ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সেবা প্রত্যাশীরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ৫ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১২:১৫, ৫ নভেম্বর ২০২৪

৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সেবা প্রত্যাশীরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না

 তৃণমুলে স্বাস্থ্য সেবাদানের প্রতিষ্ঠান বাগবাটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সেবা প্রত্যাশীরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। দৃষ্টি নন্দন হাসপাতাল ভবনের ভেতরে দেয়ালে মাকড়সার জাল,ময়লায় ভরপুর। চিকিৎসক নেই, নার্স নেই, তৃতীয় এবং চতৃর্থ শ্রেণির কর্মচারীও নেই। হাসপাতাল ভবনের সব রুম ফাঁকা। ডাক্তার আছেন দুইজন,তারাও নিয়মিত আসেন না। কাজ করেন প্রেষনে। ভর্তি রোগীরা কেউ বেডে থাকেন না। সময়মতো এসে খাবার ও ওষুধ নিয়ে যান। ৫ জন নার্স  তিন ভাগে রোষ্টার অনুযায়ী সেবা দেন। মিডওয়াইফারি ৫ জনও একই পদ্ধতিতে কাজ করেন। ২০১৭ সালে হাসপাতাল উদ্বোধন করে চিকিৎসা সেবা চালু করা হলেও গত ৮ বছরেও পদ সৃষ্টিসহ ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃজনবল নিয়োগের প্রশাসনিক অনুমোদন মেলেনি । সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পদ সৃষ্টিৃসহ প্রশাসনিক অনুমোদন চেয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 
সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে ৫ শ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ ও ২৫০ শয্যার আধুনিক জেনারেল হাসপাতাল থাকলেও উপজেলা পর্যায়ের তৃণমুল মানুষের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা প্রদানের জন্য কোন হাসপাতাল ছিলো না। তৃণমুল পর্যায়ের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা সদর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দুরে একাত্তরের চিহিৃত গণহত্যার কেন্দ্রবিন্দু বাগবাটিতে ৩১শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালে এই হাসপাতালটি প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে চালু করা হয়। এই হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার সহ আধুনিক চিকিৎসা সেবাদানের সুযোগ সুবিধাসহ অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়।  প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেবা প্রত্যাশীরা বুক ভরা আশা নিয়ে হাসপাতালে গেলেও কাঙ্খিত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ
 হাসপাতালে ভর্তি বাগবাটি ইউনিয়নের ঢলঢোব গ্রামের মঙ্গলা সেখ ৭ দিন আগে পেটের ব্যথা নিয়ে  হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান- ডাক্তারকে তিনি চেনেন না। মাঝে মধ্যে একজন প্যান্ট শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি তাকে দেখতে আসেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো ডাক্তার পরিচয়ের সেই ভদএলাক উপসহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো)। এই স্যাকমোরাই জরুরী বিভাগে রোগী দেখেন। দুর্ঘটনায়া আহত বা হার্ট, কিডনি জনিথ জুরুরী রোগীর সেবা সেবা দেওয়ার এই হাসপাতালে কেউ নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানান অনেকটা জোড়া তালি দিয়ে এই হাসপাতাল চালানো হচ্ছে। অন্যান্য হাসপাতাল থেকে প্রেষনে চিকিৎসক,নার্স এনে কাজ করানো হচ্ছে। হাসপাতালে অন্তঃবিভাগে প্রায় প্রতিদিন ৩৫ জন রোগী ভর্তি থাকে, বহিঃবিভাগে প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জন রোগী স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ৩১ শয্যার হাসপাতালের অনুকুলে ২৭ জন চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিষ্টৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ, আয়া, অফিস সহকারি সহ ৮৯ পদে কোন জনবল নেই। তিনি ইতোমধ্যেই এ সব পদ সৃজন ও প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধপত্র সিভিল সার্জনের মাধ্যমে একাধিকবার প্রেরণ করেছেন।  তবে এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বাবু ইসলাম

বাবু ইসলাম /জাফরান

×