.
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৮৫-৮৬ অর্থবছরে মোহনগঞ্জ চর হাইজদা বেড়িবাঁধ প্রকল্পের আওতায় বড়কাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নের পানুর গ্রামের বড় রাস্তার ওপর ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে (জমি অধিগ্রহণসহ) যে স্লুইস গেটটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা এখন অকেজো। কাজে আসছে না এক টাকারও।
প্রায় পুরো প্রকল্পই জলে গেছে। খিদিরপুর, খিলা, সোনারামপুর, পানুর, বামুন্দী, সমাজ, পাবইপাড়াসহ অন্যান্য গ্রামের আবাদি জমিতে পানির ব্যবস্থাপনা এবং যথাসময়ে পানি অপসারণের লক্ষ্যে এই স্লুইস গেটটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ডাবল বেনের এই স্লুইস গেটটি শুধুই রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। গেটের জলকপাট, হাতল হ্যান্ডেলও উধাও।
স্থানীয়রা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কোনো কাজে আসেনি। স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আ. মন্নাফ জানান, আমরা শুধু নামেই কমিটি। গেটের জলকপাট না থাকায় এর কোনো কার্যক্রমও নেই। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি আছে কি না জানা নেই। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। স্থানীয় জনসাধারণ রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকার অহেতুক অপচয় এবং প্ল্যান কোড অনুসরণ না করে স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।