ছবি : সংগৃহীত
বনদস্যুরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলেদেরকে আটক করা শুরু করে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চুনকুড়ি নদীর তকতাখালি এলাকায় অভিযান চালায়।
বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। জেলেদেরকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে বন বিভাগের সদস্যরা বনদস্যুদের লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে বনদস্যুরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত জেলেদেরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চুনকুড়ি গ্রামের আব্দুল আলিম, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. নুর ইসলাম, ছোট ভেটখালি গ্রামের মো. হাফিজুর রহমান, রাজু ফকির, শফিকুল ইসলাম,দুরমুজ খালি গ্রামের রফিকুল ইসলাম, হরিনগর গ্রামের মফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ইসাক সানা ও বড় ভেটখালী গ্রামের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
চুনকুড়ি গ্রামের কাঁকড়া জেলে নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চুনকুড়ি নদীর ধানুখালি এলাকা থেকে দুজন ডাকাত আমাকে তুলে নেয়। আমার সঙ্গে থাকা অন্য ছেলেদের মুক্তিপণের টাকা দেয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়। যেদিন আমাকে তুলে নিয়েছে ওই দিন থেকে তারা আমার ওপর বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়। আজ সকালে ফরেস্টাররা অভিযান চালিয়ে আমাদের উদ্ধার করে।
হরিনগর গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাকে সুন্দরবনের তক্তাখালী এলাকা থেকে দুজন বনদস্য তুলে নেয়। বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে পাঠানোর জন্য বাকি জেলেদেরকে ছেড়ে দেয়। রবিবার সকালে বনবিভাগের ফাইবার বোর্ড দেখে দুজন বনদস্যু সুন্দরবনের ওপর উঠে বনবিভাগের ওপর গুলি ছুড়তে শুরু করে। বনবিভাগের সদস্যরা আমাদের নিরাপদ জায়গায় রেখে বনদস্যুদের ধাওয়া করে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া কদমতলা স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে রবিবার সকাল থেকে চুলকুড়ি নদীর তত্ত্বাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনদস্যুদের কাছ থেকে ১০ জন জেলে তাদের ব্যবহৃত ১ রাউন্ড গুলি ও একটি সোলার প্যানেল উদ্ধার করে।
টুম্পা