মো. আমিনুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ শেষ। আগামী ১০০-২০০ বছরেও আর দাঁড়াতে পারবে না। আপা চলে গেছে, বর্জ্য রেখে গেছে। টাকা-পয়সা লুট করে, আলেম-ওলামাদের জেল-ফাঁসি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ৮-১০টি ব্যাংক এখন পুরো বন্ধ, টাকা নাই। লুটপাট করেছে সব। দেশ থেকে লুট করে দেশের বাইরে বাড়ি করেছে। গোটা দেশ লুটপাট করে ভারতে গিয়ে বসে আছে হাসিনা। আমরা যদি দেশটাকে না গড়ি, তাহলে আর কেউ নাই। দেশের মানুষের সর্বশেষ আস্থা তারেক রহমানের প্রতি, বিএনপির প্রতি।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল ভোলাহাট উপজেলা শাখার আয়োজনে মোহবুল্লাহ কলেজ মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনসভায় সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ পালানোর পরেও আবারও নতুন করে সক্রিয় হয়েছে কুচক্রী মহল। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সারাবিশ্বের মানুষের আস্থা, দেশের মানুষের আস্থা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের প্রতি। যতদিন পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় না যাচ্ছে, ততদিন আমাদের নিজেদের মধ্যেকার অন্তঃকোন্দল নিষ্পত্তি হবে না। এসবকে এখন তুচ্ছ মনে করতে হবে। সারাদেশের মানুষ আপামর জনতা বিএনপির উপর আস্থা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে ছেলে নাতি-নাতনী, স্বজন সবাইকে হারিয়েও দেশ থেকে যাননি খালেদা জিয়া। আর ছাত্র-জনতা একটু ভয় দেখিয়েছে, তাতেই দেশ থেকে উধাও হাসিনা। আবার বড় বড় বক্তব্য দেয়, শেখ হাসিনা পালায় না। অথচ পালানোর তিন দিন আগে একথা বলেছিল। কোন লজ্জায় এখন মানুষ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ বলে, আমার বুঝে আসে না। তাদের আত্মহত্যা করা উচিত। আমি যদি শেখ হাসিনার জায়গায় থাকতাম, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে বা আমার যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে আত্ম-মর্যাদাবোধ থেকে আত্মহত্যা করব।
টুম্পা