সদর উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৩ হাজার ২৭০ কৃষক বিনামূল্যে ৪৩ লাখ ৭১ হাজার ৭১০ টাকার প্রণোদনার বীজ সার পাচ্ছেন।
রবিবার সকাল ১০ টায় সদর উপজেলা চত্বরে এ বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকদের জন্য এ প্রণোদনা কর্মসূচি অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এটি শুধুমাত্র কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নয়, বরং কৃষি অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) কৃষ্ণ রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিন বিনতে আজিজ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিস মমতাজ।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আফরিন বিনতে আজিজ জানান, সদর উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের ৫০ জন কৃষক ২০ কেজি করে ১ হাজার কেজি গম বীজ, ২ হাজার ৭০০ জন কৃষক ২ কেজি করে ৫ হাজার ৪০০ কেজি।
ভুট্টা বীজ, ২৭০জন কৃষক ১ কেজি করে ২৭০ কেজি সরিষা বীজ, ৩০ জন কৃষক ১ কেজি করে ৩০ কেজি শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ, ৫০ জন কৃষক ৫ কেজি করে ২৫০ কেজি মসুর বীজ, ৫০ জন কৃষক ৫ কেজি করে ২৫০ কেজি শীতকালীন মুগ বীজ ও ১২০ জন কৃষক ২ কেজি করে ২৪০ কেজি অড়হড় প্রণোদনা বীজ পাবেন।
এছাড়া গম উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১ বিঘা চাষের জন্য ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, ভুট্টা উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১ বিঘা চাষের জন্য ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার, সরিষা উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১ বিঘা চাষের জন্য ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, শীতকালীন পেঁয়াজ।
উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, শীতকালীন মুগ উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার, মসুর উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি, অড়হড় উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।