ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১

"মাছের খোঁজে বিল খোঁজা, ফিরলেন হতাশ"

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছ ধরার অবিরাম চেষ্টা চালানোর পর হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন তারা

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২২:৩২, ২ নভেম্বর ২০২৪

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছ ধরার অবিরাম চেষ্টা চালানোর পর হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন তারা

আজ শনিবার সূর্য ওঠার আগে পলোর ঝুপঝাপ শব্দে মুখর হয়ে ওঠে নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের শহরবাড়ি ও কয়রাবাড়ি গ্রাম। সেখানে মাছ ধরতে এসেছিলেন গাইবান্ধা থেকে আসা প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তাঁদের হাতে ছিল চাক পলো, নেটপলো, ঠেলাজাল, বাদাইজাল, লাঠিজালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। দল বেঁধে মাছ ধরার এ দৃশ্য দেখতে বিলপাড়ে জড়ো হয় হাজারো মানুষ।
তবে ১১টি বাস, সাতটি বড় ট্রাক ও চারটি ছোট ট্রাকে চেপে দেড় শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মাছ ধরতে আসাটা মোটেও সুখকর হয়নি শৌখিন মাছশিকারিদের। কারণ, দুপুর পর্যন্ত বিলের প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ ঘেরাও করে তাঁরা পেয়েছেন মাত্র তিনটি বোয়াল মাছ। যেন চলনবিলে মাছের আকাল চলছে। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, বিলে পানি থাকায় শৌখিন মাছশিকারিরা মাছ ধরতে পারেননি।
 
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোরে তাঁদের ঘুম ভাঙে পলো ফেলার ঝুপঝাপ শব্দে। ঘুম থেকে উঠেই তাঁরা দেখতে পান হাজারো মানুষ চলনবিলে মাছ ধরতে নেমেছেন। দুপুর পর্যন্ত মাছ ধরার অবিরাম চেষ্টা চালান। কিন্তু হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। কারণ, সবাই মিলে মাত্র তিনটি বোয়াল মাছ ধরতে পেরেছেন। মাছ তিনটির ওজন সব মিলিয়ে ৯ কেজি হবে।

মাছ ধরতে আসা ওয়াহেদ বলেন, তিনি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থেকে মাছ ধরতে এসেছেন। ১১টি বাস ও ১১টি ছোট-বড় ট্রাকে তাঁর সঙ্গে অন্তত দেড় হাজার মাছশিকারি এসেছেন। তাঁদের মাথাপিছু খরচ পড়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু উল্লেখ করার মতো কোনো মাছ পাননি। তিনি বলেন, ২০ বছর ধরে তিনি দেশের বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশয়ে পলো দিয়ে মাছ ধরেন। এবারের অভিজ্ঞতা হতাশাজনক।
 
চলনবিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, চায়না জাল ও সোতি জাল দিয়ে চলনবিলে নির্বিচার মাছ ধরার কারণে বিলে মাছের উৎপাদন কমে গেছে। এত লোক মিলে তিনটি মাছ ধরার মধ্য দিয়ে বিলের মাছ কমে যাওয়ার বিষয়টি আবার প্রমাণিত হলো।

রাজু

×