শহরের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে ন্যায্যমুল্যে সবজির বাজার
গাইবান্ধা শহরের জিরো পয়েন্টে চালু হয়েছে ‘জনতার বাজার’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
‘জনতার বাজারে’ নিত্যপ্রয়োজনীয় আলু, পেঁয়াজ, ঢেঁড়শ, লাউসহ ১০ প্রকার সবজি পাওয়া যাচ্ছে। যা বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে। সেটি ঘিরেই মানুষের আগ্রহ। কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
শুক্রবার দুপুরে দেখা গেছে সবজি বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ক্রেতার ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। এমন পরিবেশের মূল কারণ এখানে বিক্রি হচ্ছে ন্যায্যমূল্যের সবজি। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে ন্যায্যমূল্যে তা ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল ও সিন্ডিকেট নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম চলবে। আপাতত ৮ থেকে ১০ প্রকারের সবজি বিক্রি করা হলেও আগামীতে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই বিক্রির আশা তাদের। জনতার বাজারে বিক্রি করা সবজির মধ্যে দেখা গেছে, লাউ ২৫ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ফুলকপি প্রতিকেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বাজারের মূল্য থেকে প্রায় ১০ থেকে ৩০ টাকা কম।
সবজি কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ৬০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। কিন্তু এখানে প্রায় সব সবজি ৫০ টাকার নিচে। বাজারে আলুর দাম ৬০ টাকা হলেও এখানে মাত্র ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তাই এখান থেকে সবজি কিনেছি।
মনোহরগঞ্জে ভিড় সামলাতে হিমশিম
নিজস্ব সংবাদদাতা, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা থেকে জানান, রেলওয়ে স্টেশনের একপাশে লাউ, কাঁচা পেঁপে, বরবটি, করলা, শসা, ঝিঙে, আলু, বেগুন, লালশাকসহ নানা রকমের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন একদল তরুণ। তাদের কেউ এসব পণ্য প্যাকেট করছেন, কেউ মাপছেন, কেউ টাকা নিচ্ছেন, আবার কেউ ক্রেতার ভিড় সামলাচ্ছেন।
মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথের পেটুয়া রেলওয়ে স্টেশনে সোমবার সকাল ৭টা থেকে ‘যে দামে কেনা, সে দামে বেচা’এই কার্যক্রম শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সবজি কিনতে আসা ক্রেতার ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ভিড় ঠেলেও কিছুটা কম দামে সবজি কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতা। প্রতিকেজি লাউ ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা এবং জলপাই ৪০ টাকা, লালশাক ২৫টাকা, মারফা ৩৫ দরে বিক্রি করছেন।
মীরসরাইয়ে আনন্দের বাজার
নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম থেকে জানান, মীরসরাইয়ে সবজির দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংঠন ‘সম্প্রীতি আদর্শ সমাজ’ এর উদ্যোগে ক্রয়মূল্যে সবজি ও নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের ‘আনন্দের বাজার’ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার মিঠানালা রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ক্রয়মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন তপন, মাওলানা আলাউদ্দিন, দুলাল উদ্দিন, নূর নবী, শাহাদাত হোসাইন, মনিরুল ইসলাম, হাসান, রাসেদ খান, সজিব, মেজবা, সোহেল, লাবু, শাওন, সজল, অভি, রায়হান প্রমুখ।