চাহিদা বাড়লেও বরাদ্দ বাড়েনি সিলেটের ফিলিং স্টেশনগুলোতে। যার ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহন মালিকরা। এর প্রভাব পড়ছে চলাচলকারী যাত্রীদের ওপর।
১৭ বছর আগে সেসময়ের চাহিদা বিবেচনায় সিলেটের ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে বাড়ছে যানবাহনের চাপ।
কিন্তু সে অনুপাতে গ্যাস বরাদ্দের পরিমাণ বাড়েনি। তাই মাস শেষ হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায় গ্যাস বরাদ্দের লিমিট। তাই বেশিরভাগ ফিলিং স্টেশন মাস শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই বন্ধ করে দিতে হয়। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রী ও গাড়ি চালকদের।
এ নিয়ে গ্যাস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখিত ও মৌখিক আবেদন জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি ব্যবসায়ীরা। দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে।
ফিলিং স্টেশনের মালিকরা জানান, ২০০৭ সালের তুলনায় বর্তমানে সড়কে গাড়ি বেড়েছে চারগুণ। কিন্তু গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। যে কারণে ফিলিং স্টেশনের মালিকরা প্রতি মাসের শেষ ১০ দিন গ্যাস সংকটে পড়েন। জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রতি ফিলিং স্টেশনের জন্য লোড নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বাইরে যেসব পাম্প গ্যাস বিক্রি করেন তাদের জরিমানার মুখে পড়তে হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জালালাবাদ গ্যাসের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকও করা হয়েছে। জাতীয় সংকটের দোহাই দিয়ে তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। পাম্পগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।