নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এবার ঢাকঢোল পিটিয়ে শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়েছে লোক দেখানো খাল পরিষ্কার অভিযান! জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে দেশজুড়ে প্রতি জেলায় একটি করে খাল পরিষ্কার অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের আকুয়া দীঘারকান্দা খালের সাড়ে আট কিলোমিটার পরিচ্ছন্ন করার কাজের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া।
উদ্বোধনের পর কর্মকর্তারা চলে গেলে খাল পরিষ্কারে অংশ না নিয়ে ফিরে যান বেশিরভাগ পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী। যদিও উদ্বোধন শেষে সিটি প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার খালের ১২টি পয়েন্টে বেলা ১২টা পর্যন্ত একযোগে এই কাজ চলবে। পরবর্তীতে মনিটরিংসহ খাল পরিষ্কারের কাজ অব্যাহত রাখা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর ৩ নম্বর, ৪ নম্বর, ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডসহ আশপাশের পানি এই খাল হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিষ্কাশন হয়ে থাকে।
খাল ভরাট ও জবরদখলসহ নিয়মিত পরিষ্কারের অভাবে কচুরিপানা ও আবর্জনা জমে পানির এই প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নগরীতে প্রতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে খাল পরিষ্কারের মাধ্যমে এই সমস্যা দূরীকরণের এমন উদ্যোগ নিয়ে হতাশ নগরীর নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বলা হয়, শুক্রবার খালের সাড়ে আট কিলোমিটারের মধ্যে ১২টি পয়েন্টে খাল পরিষ্কার করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গোকূল সূত্রধর মানিক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, খাল পরিষ্কার অভিযানের শুরুতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, স্বেচ্ছাসেবী ও এনজিওসহ বিভিন্ন সংগঠনের শত শত কর্মী উপস্থিত থাকলেও উদ্বোধনের পর প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পর হাতেগোনা ২৫-৩০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছাড়া সবাই চলে যায়।
ফলে এই উদ্যোগে কতটা সুফল মিলবে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই সমন্বয়ক। তার মতে দক্ষ লোকবল ও প্রয়োজনীয় এক্সকাভেটরসহ পরিচ্ছন্ন ও খননের যন্ত্রপাতি ছাড়া এটা সম্ভব নয়।