খাতার হিসাবে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি রয়েছে ১৩ জন। উপস্থিত পাওয়া গেল আটজন। এরা হচ্ছে নিলয় সরকার, ওম হাওলাদার, জুলিয়া, জোবায়দা, রায়হান, জুনায়েদ, সুরাইয়া, জবা ডাকুয়া।
একইভাবে পঞ্চম শ্রেণির ১৩ জনের সাতজন। তৃতীয় শ্রেণিতে আটজনে উপস্থিত আছে ছয়জন। কলাপাড়ার বানীকান্ত হাওলাদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। বুধবার দুপুরে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
প্রধান শিক্ষক শাহীন জানালেন, এই তিন ক্লাস ছাড়াও প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে আরও ১৭ জন প্রথম শিফটে উপস্থিত ছিল। তার দেওয়া হিসাব নিয়ে বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট উপস্থিত ৩৮ জন। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কাগজে-কলমে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৫৬ জন। কর্মরত রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক। সহকারী শিক্ষক সুপর্ণা রাণীকে স্কুলে পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষকের ভাষ্য, ‘একটু আগেই স্কুল সংলগ্ন বাড়িতে গেছেন। আবার এখনই ফিরবেন।’ তবে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও কাগজে-কলমে তারা এখনো এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সহপাঠীরা জানায়, চতুর্থ শ্রেণির আবুবকর মাদ্রাসায় চলে গেছে। পঞ্চমের মুসা ঢাকায় চলে গেছে। যেন বেহাল দশা।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়টিতে গড় উপস্থিতি ২০-২৫ জন। মাত্র অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচজন শিক্ষক কর্মরত। এ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষার হাল যেন বেহাল। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস জানান, কমপক্ষে চারজন শিক্ষক পদায়নের বিধান রয়েছে।
বেশি শিক্ষার্থী থাকলে সেখানে প্রতি ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক পদায়নের নিয়ম রয়েছে। শিক্ষার্থী কমসহ গোটা বিষয়টি তিনি দেখবেন।