ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব নির্মূলের অংশ হিসেবে রাজশাহীতে খাল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের গাঙপাড়া খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে দিবসের উদ্বোধন করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে গাঙপাড়া খালের মুখে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজে অংশ নেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মুখলেছুর রহমান, রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন, বিডি ক্লিন রাজশাহীর জেলা সমন্বয়ক শাহদাত হোসেন প্রমুখ। পরে ‘দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নির্মূলের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতার সুফল সম্পর্কে এলাকাবাসীকে সচেতন করতে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চল অধিক খরা প্রবণ। এই অঞ্চলের খাল-বিলের পানি কৃষি কাজসহ জীব ও বৈচিত্র্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে খ্যাত রাজশাহী মহানগরীকে ডেঙ্গু ও দূষণমুক্ত রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গাঙপাড়া খালে সাড়ে ১১ কিলোমিটার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দুয়ারী খাল ও জিয়া খালের অবৈধ দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করা হবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে প্রবাহিত খালগুলো অপরিচ্ছন্ন থাকায় পানি বারনই নদীতে নামতে পারে না। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমিত পরিসরে জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশ হিসেবে খালের মুখে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখন সবার সহায়তায় ধান-নদী-খালসহ রাজশাহীর পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সরকার অসীম কুমার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে যুব ঋণের চেক, ক্রেস্ট, সনদপত্র ও গাছের চারা প্রদান করা হয়। পরে উপজেলা প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপন করেন বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়।
জাফরান