যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস
টেন্ডারের বাঁধা দেয়া সেই যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস কে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন অনুমোদন করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দখল, টেন্ডার সন্ত্রাস এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী নানা অনাচারের কারণে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত এবং জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোমিনুল ইসলাম মমিন, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া কে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পথ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য দরপত্র আহবান করে হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম। বিজ্ঞাপ্তি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২ টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের নিদিষ্ট দরবক্সে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়।
এসময় লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাঁধা প্রদান করেন।
এসময় দরদাতারা দরপত্র জমাদান করতে না পেয়ে সেনা সদস্যদের খবর দেয়। খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা এসে ধাওয়া দিয়ে যুবদল নেতা জুলহাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এমন খবর গনমাধ্যমে প্রচার হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
শহিদ