ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

খামারে ফের ১৭ মহিষের রহস্যজনক মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

খামারে ফের ১৭ মহিষের রহস্যজনক মৃত্যু

বাগেরহাটে অবস্থিত দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে ফের ১৭টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রজনন খামারের মাঠে মহিষগুলোর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। কেন্দ্রের আরও তিনটি মহিষ অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখন পর্যন্ত মহিষগুলোর মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক কোনো কারণ জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

 

 

 

 


মহিষ প্রজনন খামারের কর্মী আক্তার হোসেন বলেন, সকালে প্রজননকেন্দ্রের শেড থেকে মহিষগুলো বাইরে বের করা হয়। ১০টার দিকে হঠাৎ দেখতে পাই কিছু মহিষ মাঠের ভেতর ছটফট করছে। এ সময় ১৭টি মহিষ মারা যায়। আমরা দ্রুত সুস্থ মহিষগুলোকে শেডে ফিরিয়ে নিয়ে আসি।’

 


বাগেরহাট জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডাক্তার মনোহর চন্দ্র মন্ডল বলেন, মহিষের মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত প্রজনন খামারে ছুটে যাই। গিয়ে দেখতে পাই বেশকিছু মহিষ মারা গেছে। মহিষগুলোর বিভিন্ন অর্গান স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনটি মহিষ এখনো অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। অর্গান স্যাম্পল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক কারণ জানা যাবে মহিষের মৃত্যুর সঠিক জানা যাবে।’
মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আহসান হাবীব বলেন, মহিষগুলোকে শেড থেকে মাঠে নেওয়ার পর কিছু মহিষ রহস্যজনকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় ১৭টি মহিষ মারা যায়। মহিষগুলোর কেন মৃত্যু হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। পোস্টমর্টেমের জন্য স্যাম্পল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট পেলে মহিষের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এরআগে গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২১টি বাচ্চা মহিষ মারা যায়। এ ঘটনায় তখন উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।  


প্রসঙ্গত: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সুকদ্বারা এলাকায় অবস্থিত মহিষের প্রজনন ও জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এ খামারে বর্তমানে ৪৭০টি মহিষ রয়েছে। দুধের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে অধিক উৎপাদন দক্ষতা ও প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন মহিষের জাত উন্নয়ন এবং মহিষের সংখ্যা বাড়াতে ২০২৩ সালের শেষের দিকে তিন দফায় ভারত থেকে ১৪৯টি পূর্ণ বয়স্ক মহিষ ও ১২০টি বাচ্চা মহিষ আনা হয়। পরে ওই বছরের ডিসেম্বর, চলতি বছরের বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২১টি বাচ্চা মহিষ মারা যায় খামারে। এর মধ্যে ১০টি ভারত থেকে আনা ও ১১টি খামারের বাচ্চা মহিষ। তিন মাসে ২১টি বাচ্চা মহিষের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মনে করছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয়রা। ফলে কেন মহিষের বাচ্চাগুলো মারা যায়, সে বিষয়ে জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালককে চিঠি দেয়, চিঠির উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তখন পরিচালক (উৎপাদন) ড. এবিএম খালেকুজ্জামান।

ফুয়াদ

×