খুলে রাখা আলমারির ড্রয়ার
জয়পুরহাটে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে বাড়ি তল্লাশির নামে দিন-দুপুরে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা এবং সোনার গয়না লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের ভেরেণ্ডি গ্রামের আনিসুর রহমানের বাড়িতে আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগী এবং এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ২টার দিকে আনিসুর রহমানের বাড়িতে দুটি মোটরসাইকেলে, সাদা পোশাকে চারজন লোক গিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। তাঁদের হাতে হ্যান্ডকাফ এবং রিভলবার ছিল। তাঁরা বাড়ির সদস্যদের ভয়ভীতি দেখান। এরপর ওই বাড়িতে অবৈধ মালপত্র ও মাদকদ্রব্য আছে, তাই ঘর তল্লাশি করতে হবে জানিয়ে সবাইকে ঘরের বাইরে পাঠিয়ে দেন তাঁরা।
চারজনের মধ্যে একজন ঘরের দরজায় পাহারা দিচ্ছিলেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর তাঁরা ঘর থেকে বের হোন। এরপর বাড়ির লোকদের জানান তথ্য ভুল ছিল। তাই চলে যাচ্ছেন বলে মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যান।
এরপর আনিসুরের ছেলে জাকারিয়া ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঘরে ঢোকেন। সে সময় তাঁরা আলমারির ড্রয়ার খোলা দেখতে পান। ড্রয়ারের ভেতরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার দেখতে পাননি। এরপর ঘটনাটি তাঁরা থানা-পুলিশকে জানিয়ে দেন।
জাকারিয়া জানান, তাঁর বাবা আনিসুর রহমান মাদকাসক্ত এটা গ্রামবাসী সবাই কম-বেশি জানেন। সে কারণে আগেও তাঁদের বাড়িতে ২-৩ বার পুলিশ গিয়েছিল। আজকে বেলা ২টার দিকে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে চারজন লোক তাঁদের বাড়িতে ঢোকে। তাঁদের হাতে ছিল হ্যান্ডকাপ ও রিভলবার। তাঁরা যাওয়ার পর দেখতে পান আলমারির ড্রয়ারে রাখা নগদ ৮০ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার নেই।
তিনি আরও জানান, তাঁদের বাড়ির বাইরের একটি দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। সেখানে তাঁদের ছবি দেখা গেছে। পুলিশ তদন্ত করলে, তাঁদের শনাক্ত করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী।
কালাই থানার (ওসি) জাহিদ হোসেন রাত ৮টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ডাকাতি বা লুটপাটের বলে মনে হয়নি। ওই বাড়ির পার্শ্ববর্তী দোকানের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শিহাব উদ্দিন