জেনারেল হাসপাতাল
ময়লা আবর্জনার ভাগারে পরিনত হয়েছে বরগুনার ২শ৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল । এর মধ্যেই দেওয়া হচ্ছে ডেঙ্গু, শিশু ও জরুরী চিকিৎসা সেবা।
স্তুুপ করে রাখা হয় খাবারের উচ্ছিষ্ট ও হাসপাতালের বর্জ্য সহ নানা আর্বজনা।কোথাও কোথাও ছড়িয়ে সিটিয়ে আছে ময়লা।দীর্ঘদিন ধরে ময়লা পড়ে থাকায় বের হচ্ছে পঁচা দুর্গন্ধ। আর মলমূত্র ছড়িয়ে সিটিয়ে আছে সৌচাঘরেও।সৌচাঘরের পানি বেড়িয়ে রুগীদের রুমে ডুকছে। আর এই ময়লা পানির উপর দিয়ে যেতে হয়েছে রুগী,রুগীর স্বজন,নার্স ও চিকিৎসকদেরকেও।এটি বরগুনা ২শ৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিত্র। একই অবস্থা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বর্হিবিভাগ,গাইনী বিভাগ সহ পুরো হাসপাতাল।
রোগীর স্বজনরা বলেন, গেল কয়দিন যাবৎ হাসপাতালের চারপাশে ময়লা আবর্জনার ভাগারে পরিনত হলেও দেখার কেউ নেই। তীব্র দুর্গন্ধের পরেও প্রয়োজনের তাগিদে দুর্গন্ধ সহ্য করে চলতে হচ্ছে তাদের। চিকিৎসা নিতে আসা স্বজনরা কেউ বা ঝাড়ু হাতে দিচ্ছেন ঝাড়ু ও পরিষ্কার করে রুগীর বেড তৈরি করছেন। চিকিৎসা সেবা নিয়ে রুগীদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতাল টিতে না পাওয়ায় বাহিরের ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত রোগীরা।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তথ্য মতে, জেলার ছয় উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসে এই হাসপাতালে।
জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত ৮শ২৮ জন শুধু ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া শিশুরাও ডেঙ্গু ও শ্বাসকষ্ট রোগ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর এখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয় প্রতিদিন প্রায় দুশতাধিক রোগী। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেয় প্রায় সহস্রাধিক রোগী।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ তাসকিয়া সিদ্দিকী এ বিষয়ে বলেন,জনবল সংকট এবং প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে হাসপাতালের পরিবেশ ঠিক রাখা যাচ্ছে না। আর জন্য তিনি রোগী এবং রোগীর সাথে আসা স্বজনদের অসচেতনাকে দায়ী করেন।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক "ডাঃ এ.কে.এম.নজমুল আহসান জানিয়েছেন ,সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা অক্ষম হয়ে পড়েছে।
হাসপাতালের চুক্তি ভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা দীর্ঘ চার মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় তারা ঠিক মতো কাজ করে না।
টুম্পা