নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চোরাগুপ্তা মা ইলিশ শিকার
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝালকাঠি সদর, নলছিটি ও রাজাপুর উপজেলার সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মা ইলিশ ধরার উৎসব চলছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ১৩ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিহরন, মজুদ, বাজারজাত ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু সুগন্ধা ও বীষখালি নদীতে জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ শিকার করছে। অভিযানে মৎস্য কর্মকর্তাদের সুবিধা নিয়ে এক শ্রেণির অসাদু জেলেদের ইলিশ শিকার করার অভিযোগ উঠেছে। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশ রক্ষায় যথাযথভাবে অভিযান অব্যাহত আছে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মা ইলিশ ধরা বন্ধে মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের অভিযান চলছে। অভিযানের টিমকে ফাকি দিয়ে পাহাড়া মধ্যেও সুযোগ বুঝে নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদীতে নেমে অবৈধ কারেন্ট জাল ফেলে এক শ্রেণির অসাদু ও মৌসুমি জেলেরা দিনে ও রাতে মা ইলিশ শিকার করেছে। বিভিন্ন পন্থায় তা দালাল ও ফড়িয়াদের মাধ্যমে ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুগন্ধা নদীর বারৈকরন, মাটিভাঙা, খোজখালি, দপদপিয়া, বিষখালি নদীর হদুয়া, চল্লিশকাহনিয়া, বড়ইয়া ও পালট এলাকায় অভিযান পাহাড়া দিয়ে মা ইলিশ নিধন করা হচ্ছে। এসব এলাকায় স্পিডবোর্ড ও ট্রলার নিয়ে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালালেও অভিযানের টিম ফিরে গেলেই নৌকা নিয়ে জেলে ও মৌসুমী জেলেরা নদীতে নেমে ইলিশ শিকার করছে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, নলছিটি ও ঝালকাঠি সদর মৎস্য কর্মকর্তার অভিযানের ট্রলার চালক আর্থিক সুবিধা নিয়ে জেলেদের অভিযানের খবর পৌছে দিয়ে ইলিশ শিকারের সুযোগ করে দিচ্ছে। অভিযান পরিচালা না করে অভিযানের টিম নির্দিষ্ট এলাকায় নোঙর করে রাখে। আর এ সুযোগ করে দেয়ায় চলছে অবৈধ মা ইলিশ শিকার-এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ যাতে নির্বিগ্নে ডিম ছাড়তে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের দিন ও রাতে অভিযান চালাচ্ছে। এর পরেও যদি কেউ ইলিশ শিকারে নেমে থাকে তাহলে আরও কঠোরভাবে অভিযান করা হবে।
অভিযানে প্রতিদিন উদ্ধার হচ্ছে মা ইলিশসহ হাজার হাজার মিটার জাল। এর মাঝেও চলছে চোরাই ভাবে ইলিশ ধরা ও বিক্রি। ১৩ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলায় ৪৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪ শত ৯৮কেজি ইলিশ, ৫ লাখ মিটার জাল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ৩ জনকে আটক করে এক বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়।