ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১

সংস্কারের অভাবে সড়কে দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ০০:১৭, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

সংস্কারের অভাবে সড়কে দুর্ভোগ

.

রৌমারীতে সীমান্ত ঘেঁষা ২কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে ৮ গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার  কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 
সরেজমিনে দেখা গেছে,  রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়িত যাতায়াত করে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চরেরগ্রাম, চরবোয়ালমারী, পূর্ব কাউয়ারচর, পশ্চিম কাউয়ারচর, তেকানি গ্রাম, নওদাপাড়া, মন্ডলপাড়া ও বাঘের হাটসহ ৮টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। প্রতিবছর এ এলাকায় বন্যার স্রোতের কারণে  গ্রামগুলোর কাঁচা রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজ- মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সকল পেশাজীবী মানুষ যাতায়াত করেন। প্রয়োজনের তাগিদে অসুস্থ রোগীকে অটোভ্যান, রিক্সা, সাইকেল ও মোটরসাইকেলে করে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কৃষকদের  উৎপাদিত ফসল অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে যেতে হয়। এতে ওই কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছে অনেকেই।
স্থানীয় সাহের আলী, আমিনুল ইসলাম, রেহেনা আক্তার বলেন, রাস্তাটি অন্য রাস্তা থেকে নিচু হওয়ায় বন্যার সময় তলিয়ে যায়। তখন এসব গ্রামের মানুষ পড়ে আরও বিপদে। ফলে এলাকাবাসী রাস্তায় বাঁশের সাঁকো ও কলাগাছের ভেলা দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার  হয়। রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কিন্তু তারাও কথা রাখে না। প্রতিবছর এ উপজেলায় সরকার টিআর, কাবিটা, কাবিখা, এলজিইডি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির প্রতি কারো নজর পড়েনি। কর্তৃপক্ষের কাছে  দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।
 শৌলমারী ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে একাধিকবার বলেছি কিন্তু তিনি শোনেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিতভাবে বলেনি, আবেদন পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।        

  
গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়ক বেহাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা থেকে জানান, উপজেলা সদর থেকে শিল্পাঞ্চলখ্যাত মহিমাগঞ্জের মধ্যে চলাচলের একমাত্র সড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ দুইটি স্থানে বেহাল দশার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না দীর্ঘদিনেও। গোবিন্দগঞ্জ শহরের খোদ পৌরসভা ভবনের সামনের একশ’ মিটার ও হোসিয়ারি শিল্পের জন্য বিখ্যাত কোচাশহর বাজারের একশ’ মিটার রাস্তায় চলতি বছরের বর্ষাকালে সৃষ্ট বড় বড় গর্ত এখন খাদে পরিণত হওয়ায় চলাচল প্রায় বন্ধের পথে। এ কারণে এই পথে চলাচলকারী ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন প্রায় প্রতিদিনই জলজট-যানজটে আটকে থাকার পাশাপাশি গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একদিনের বৃষ্টিতে এক সপ্তাহ পানির নিচে ডুবে থাকা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পেরোতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথে চলাচলকারীরা। বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এ দুইটি স্থান পার হতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এলজিইডির নিয়ন্ত্রণাধীন এই সড়কটি সংস্কার আর মেরামতের নামে বারবার অর্থব্যয় করেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। তারা জানান, সড়কের তুলনায় পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি উঁচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ  ব্যবস্থা না থাকায় একদিন বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকছে দীর্ঘদিন।  এ কারণে পানি জমে থাকায় পাকা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও পথচারীরা। কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে জানান, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে বারবার আবেদন করেও আশ্বাস ছাড়া কোনো ফলাফল পাচ্ছি না।  এলজিইডি’র গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার জানিয়েছেন, অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। সড়কের দুরবস্থা কাটাতে আরসিসি ঢালাই দিয়ে কোচাশহর ও পৌরসভার সামনের অংশে সড়ক নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্থানে ড্রেন নির্মাণেরও ব্যবস্থা থাকবে।

বানারীপাড়া পৌর সভার সড়কে ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, বানারীপাড়া পৌর শহরের অধিকাংশ সড়ক বেহাল। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা জনসাধারণের পায়ে হেঁটে চলতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দে পরিণত হয়ে পুরো সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি সড়কের পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে একটু বৃষ্টিতেই গর্তে পানি জমে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেহাল হয়ে পড়া এসব সড়কে এখন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে একটু বৃষ্টিতেই পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কের ওপর হাঁটু সমান পানি জমে পৌরবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পৌরবাসী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভার সড়কগুলো সংস্কার না করায় প্রতিটি সড়ক খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। 
সদ্য অপসারিত বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র সুভাষ শীলের সময়ে পৌরসভায় তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। তৎকালীন সময়ে পৌর মেয়রের কাছে সড়ক উন্নয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সবসময় বলতেন, শীঘ্রই সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে। পৌরবাসীকে আশ্বাস দিয়ে মেয়র সর্বদা বলতেন, বিরাট বরাদ্দ আসছে উন্নয়ন করার জায়গাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। পৌর মেয়রের এ মিথ্যা আশ্বাসের মধ্যেই কেটে গেছে দীর্ঘ বছর, কিন্তু উন্নয়নের ছিটেফোঁটা ছাপ পড়েনি বানারীপাড়া পৌরসভায়। সার্বিক বিষয়ে বানারীপাড়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিন্দ্র বলেন, নতুন করে বরাদ্দ এলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা হবে।

×