রৌমারীতে সীমান্ত ঘেঁষা ২কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভবে ৮ গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়িত যাতায়াত করে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চরেরগ্রাম, চরবোয়ালমারী, পূর্ব কাউয়ারচর, পশ্চিম কাউয়ারচর, তেকানি গ্রাম, নওদাপাড়া, ম-লপাড়া ও বাঘের হাটসহ ৮টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। প্রতিবছর এ এলাকায় বন্যার কারণে গ্রামগুলোর কাঁচা রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজ- মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সকল পেশাজীবী মানুষ যাতায়াত করেন। প্রয়োজনের তাগিদে অসুস্থ রোগীকে অটোভ্যান, রিক্সা, সাইকেল ও মোটরসাইকেলে করে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে যেতে হয়। এতে ওই কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছে অনেকেই।
স্থানীয় সাহের আলী, আমিনুল ইসলাম, রেহেনা আক্তার বলেন, রাস্তাটি অন্য রাস্তা থেকে নিচু হওয়ায় বন্যার সময় তলিয়ে যায়। তখন এসব গ্রামের মানুষ পড়ে আরও বিপদে। ফলে এলাকাবাসী রাস্তায় বাঁশের সাঁকো ও কলাগাছের ভেলা দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হয়। রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কিন্তু তারাও কথা রাখে না। প্রতিবছর এ উপজেলায় সরকার টিআর, কাবিটা, কাবিখা, এলজিইডি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির প্রতি কারো নজর পড়েনি। কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।
শৌলমারী ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে একাধিকবার বলেছি কিন্তু তিনি শোনেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিতভাবে বলেনি, আবেদন পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।