উপজেলা সদর থেকে শিল্পাঞ্চলখ্যাত মহিমাগঞ্জের মধ্যে চলাচলের একমাত্র সড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ দুইটি স্থানে বেহাল দশার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না দীর্ঘদিনেও। গোবিন্দগঞ্জ শহরের খোদ পৌরসভা ভবনের সামনের একশ’ মিটার ও হোসিয়ারি শিল্পের জন্য বিখ্যাত কোচাশহর বাজারের একশ’ মিটার রাস্তায় চলতি বছরের বর্ষাকালে সৃষ্ট বড় বড় গর্ত এখন খাদে পরিণত হওয়ায় চলাচল প্রায় বন্ধের পথে।
এ কারণে এই পথে চলাচলকারী ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন প্রায় প্রতিদিনই জলজট-যানজটে আটকে থাকার পাশাপাশি গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একদিনের বৃষ্টিতে এক সপ্তাহ পানির নিচে ডুবে থাকা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পেরোতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথে চলাচলকারীরা। বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এ দুইটি স্থান পার হতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এলজিইডির নিয়ন্ত্রণাধীন এই সড়কটি সংস্কার আর মেরামতের নামে বারবার অর্থব্যয় করেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। তারা জানান, সড়কের তুলনায় পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি উঁচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একদিন বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকছে দীর্ঘদিন। এ কারণে পানি জমে থাকায় পাকা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও পথচারীরা।
কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে জানান, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে বারবার আবেদন করেও আশ্বাস ছাড়া কোনো ফলাফল পাচ্ছি না। কোচাশহর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বপন বলেন, সড়কে পানি জমে থাকায় বোঝা যায় না যে কোথায় গর্ত আছে। এ কারণে রিক্সা ভ্যান ও অটোচালকরা প্রায়ই কাদাপানিতে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন।
এলজিইডি’র গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার জানিয়েছেন, অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। সড়কের দুরবস্থা কাটাতে আরসিসি ঢালাই দিয়ে কোচাশহর ও পৌরসভার সামনের অংশে সড়ক নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্থানে ড্রেন নির্মাণেরও ব্যবস্থা থাকবে।